Breaking News

Digha Donation Overflow

১৫ দিনে ৯ লক্ষ ভক্ত, প্রণামী উপচে পড়ছে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে – তৈরি হচ্ছে আরও ১০টি প্রণামী বাক্স

প্রতিদিন বাড়ছে দর্শনার্থীর ভিড়, প্রণামির পরিমাণে অবাক মন্দির কর্তৃপক্ষ; ট্রাস্ট কমিটি নিচ্ছে আধুনিক ব্যবস্থার উদ্যোগ

Digha Donation Overflow: A Record of Generosity %%page%% %%sep%% %%sitename%%

Digha Donation Overflow

শান্তিপ্রিয় রায়চৌধুরী, দিঘা থেকে : মাত্র ১৫ দিন আগে সাধারণ মানুষের জন্য দ্বার খুলেছে দিঘার জগন্নাথ মন্দির। এই স্বল্প সময়েই এই মন্দির হয়ে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম দর্শনীয় স্থান। তীর্থযাত্রী ও পর্যটকের ঢল নেমেছে মন্দির প্রাঙ্গণে। পরিসংখ্যান বলছে, গত ১৫ দিনে প্রায় ৯ লক্ষ ভক্ত এসেছেন মন্দিরে। এত বিপুল সংখ্যক মানুষের আগমনে যেমন ভক্তিভাবের জোয়ার বইছে, তেমনই মন্দিরের প্রণামী বাক্সগুলোও উপচে পড়ছে (Digha Donation Overflow) ভক্তদের দানে।

প্রণামী গুনতেই লেগে যাচ্ছে ৭ ঘণ্টা!

প্রতিমঙ্গলবার প্রণামী বাক্স খোলা হয়। গত ১৩ মে প্রণামী গোনার সময় দেখা গিয়েছে, মাত্র এক সপ্তাহেই ৯ লক্ষ টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে। এই বিপুল পরিমাণ অর্থ গুনতে লেগেছে দুপুর ১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত — টানা ৭ ঘণ্টা। প্রণামী গণনার সময় উপস্থিত ছিলেন ব্যাঙ্ক কর্মী, প্রশাসনিক আধিকারিক, ট্রাস্টের সদস্য এবং স্বেচ্ছাসেবকরা।

ইসকনের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং জগন্নাথধাম ট্রাস্ট কমিটির সদস্য রাধারমন দাস জানান, “ভক্তদের দানের আন্তরিকতা আমাদের মুগ্ধ করছে। কিন্তু প্রণামী গোনার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থাপনা এখন জরুরি হয়ে পড়েছে।”

বিনামূল্যে বিপুল জমি দান মুরলীধরনকে, কাশ্মীরে তুঙ্গে বিতর্ক

উদ্বোধনের আগেই চরম বিপত্তি! দীঘায় হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল জগন্নাথ মন্দিরের গেট

নতুন প্রণামী বাক্সের উদ্যোগ

দিঘা জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মূল প্রণামী বাক্সগুলোর সামনে অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে বহু ভক্ত সঠিকভাবে দান করতে পারছেন না। তাই মন্দির চত্বরে আরও ১০টি স্টেনলেস স্টিলের প্রণামী বাক্স বসানো হচ্ছে। প্রতিটি বাক্সেই থাকবে দুটি নিরাপত্তা চাবি এবং এদের দায়িত্বে থাকবেন নির্ধারিত কর্মীরা।

এই নতুন বাক্সগুলি মন্দির চত্বরের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে দেওয়া হবে, যাতে প্রত্যেক ভক্ত সহজেই প্রণামী দান করতে পারেন। পাশাপাশি, যাঁরা বড় অঙ্কের অর্থ দান করতে চান, তাঁদের জন্য সরাসরি জগন্নাথধাম ট্রাস্ট কমিটির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দান করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

অর্থের হিসেব স্বচ্ছ রাখতে আধুনিকীকরণ

ট্রাস্ট কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, মন্দিরে জমা হওয়া প্রণামী অর্থ সুষ্ঠুভাবে ব্যবহারের জন্য একটি পৃথক অডিট সেল গঠন করা হচ্ছে। এছাড়াও নিয়মিত প্রশাসনিক নজরদারিতে সব কার্যক্রম পরিচালিত হবে। মন্দির চত্বরের নিরাপত্তা বাড়াতে বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা এবং নিয়োগ করা হয়েছে অতিরিক্ত নিরাপত্তা কর্মী।

আরও পড়ুন :

“মমতার প্রতিদান মৃত্যু: পালিত মেয়ের হাতে খুন হলেন মা”

কেদারনাথে এইমস রিষিকেশের হেলি-এম্বুলেন্সের জরুরি অবতরণ, অক্ষত সকল আরোহী

ad

আরও পড়ুন: