Digha Jagannath Temple
দীঘা থেকে শান্তিপ্রিয় রায়চৌধুরী : দীঘা তৈরি। ফুলে ফুলে সেজে উঠেছে। রাত্রিতে তো আলোর বাহার। চলছে পান্ডাদের ব্যস্ততা। আর কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। তারপর আগামীকাল বুধবার শুভ অক্ষয়তৃতীয়ায় জগন্নাথ মন্দিরের (Digha Jagannath Temple) উদ্বোধন। উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৈরি দীঘার জনগণও। তারা ভিড় জমিয়েছেন জগন্নাথ মন্দির (Digha Jagannath Temple) চত্বর। তাদের ধৈর্য আর সইছে না। কখন তারা দেখবেন জগন্নাথ দেবের উদ্বোধন এবং মূর্তি। এখানকার মানুষ বলতে শুরু করেছেন দীঘা এখন জগন্নাথ ধাম। ঠিক হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্বোধনের পরেই সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে জগন্নাথদেবের মন্দির। উদ্বোধন করতে গতকাল সোমবারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দীঘা এসে গেছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, ‘‘দীঘাএকটা পর্যটন কেন্দ্র। পুরীর মত এখানেও সমুদ্র রয়েছে। ক’দিনের জন্য মানুষ এখানে বেড়াতে আসেন । এবার এখানে এসে মানুষ সমুদ্র দেখার পাশাপাশি জগন্নাথ মন্দিরও দর্শন করবেন। আধ্যাত্মিকতা আর সম্প্রীতির মেলবন্ধন হয়ে উঠবে এই জগন্নাথধাম। তাই দীঘার আকর্ষণ আরো বেড়ে গেল।’’
উদ্বোধনের আগেই চরম বিপত্তি! দীঘায় হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল জগন্নাথ মন্দিরের গেট
পর্যটন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত অনেকেই মনে করছেন মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে দীঘার চেহারাটা আরো বদলে গেল। ওল্ড দীঘা থেকে নিউ দীঘার বিস্তীর্ণ সৈকত এখন দারুন ভাবে সেজে উঠেছে। চারিদিকে আলোয় আলো। পাকা রাস্তা থেকে শুরু করে পর্যটকদের জন্য নানান সুব্যবস্থা, রয়েছে উন্নত মানের হোটেল। রেলপথে উত্তরবঙ্গ-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত এখন দীঘাকে জুড়ে দিয়েছে। জগন্নাথ মন্দির (Digha Jagannath Temple) হওয়ার ফলে দীঘার আকর্ষণ আরো বেড়ে গেল। পর্যটকদের ভিড় আরো বাড়বে। দু’-তিন দিনের ছুটিতে বেড়ানোর জন্য রাজ্যবাসীর অন্যতম পছন্দ দীঘা। শীত হোক বা বর্ষা, গ্রীষ্ম হোক বা বসন্ত, সপ্তাহান্তের ছুটিতে সৈকতশহরে পর্যটকের ভিড় থাকে নজরকাড়া। রাজ্যে পালাবদলের পর দীঘার চেহারাতেও অনেক বদল এসেছে। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে এলাকার আর্থিক সমৃদ্ধিও। এ বার দীঘার মুকুটে যোগ হচ্ছে জগন্নাথ মন্দির, যার হাত ধরে দিঘা-সহ পার্শ্ববর্তী এলাকার আর্থিক শ্রীবৃদ্ধি ঘটবে বলেই মনে করছেন হোটেল ব্যবসায়ী থেকে পর্যটন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত মানুষেরা।
রামনগরের তৃণমূল বিধায়ক অখিল গিরিরও মত, ‘‘দীঘা পর্যটনকেন্দ্র হিসাবে এখন অনেক বেশি আকর্ষণীয়। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে সৈকতনগরী এখন অনেক বেশি ঝাঁ-চকচকে। কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু মানুষ দীঘার সমুদ্রে আসেন। জগন্নাথদেবের মন্দিরের জন্য পর্যটকদের সেই ঢল আরও বাড়বে। এ বার জগন্নাথদেবের ভক্তেরাও বার বার দীঘায় আসবেন। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই দীঘার আর্থিক শ্রীবৃদ্ধি ঘটবে আগামী দিনে।’’
বিজেপির স্টেট এগ্জ়িকিউটিভ কমিটির সদস্য, কাঁথির নেতা অনুপকুমার চক্রবর্তী পাল্টা বলেন, ‘‘পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের একটি ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে। গোটা বিশ্বের মানুষ পুরীতে যান পুণ্যলাভের আশায়। দীঘায় জগন্নাথ মন্দির ও সংস্কৃতিকেন্দ্র গড়ে তুলে একে আধ্যাত্মিক আঙ্গিক দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। এটা আমরা কোনও ভাবেই মেনে নিতে পারি না। দীঘা পর্যটনকেন্দ্র। তাই কোনও ভাবেই আধ্যাত্মিকতার জায়গা হয়ে উঠবে না।’’
#Digha #JagannathTemple #MamataBanerjee #WestBengal #ChiefMinister
আরও পড়ুন :
কর্ণাটকের ৯৬ বছর বয়সী পপেটিয়ারের পদ্মশ্রী সম্মান: শিল্পের প্রতি অবিচল নিষ্ঠার উদাহরণ
৬৩,০০০ কোটি টাকার রাফালে মেরিন চুক্তি: ভারতের নৌসেনার আধুনিকীকরণে ঐতিহাসিক পদক্ষেপ