Breaking News

DVCWaterRelease FloodAlertBengal

জল ছেড়েছে DVC, দক্ষিণবঙ্গজুড়ে বাড়ছে প্লাবনের আশঙ্কা

DVC-র পক্ষ থেকে ৪৬ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে। দক্ষিণবঙ্গজুড়ে নিম্নচাপ ও মৌসুমী অক্ষরেখার প্রভাবে বৃষ্টির দাপটে তৈরি হচ্ছে প্লাবনের আশঙ্কা। হাওড়া, হুগলি সহ নিচু এলাকাগুলিতে সতর্কতা জারি করেছে প্রশাসন।

DVCWaterRelease FloodAlertBengal: Severe Weather Risks %%page%% %%sep%% %%sitename%%

DVCWaterRelease FloodAlertBengal

ক্লাউড টিভি ডেস্ক  : দক্ষিণবঙ্গবাসীর চিন্তা ফের ঘনীভূত। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ এবং মৌসুমী অক্ষরেখার প্রভাবে প্রবল বৃষ্টির দাপটে প্লাবনের আশঙ্কা প্রবল হয়ে উঠেছে। তার মধ্যেই দুশ্চিন্তা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে Damodar Valley Corporation (DVC)। অতিবৃষ্টির কারণে ইতিমধ্যেই দুর্গাপুর, মাইথন ও পাঞ্চেত ড্যাম থেকে লক্ষ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে (DVCWaterRelease FloodAlertBengal), যা প্রভাব ফেলতে চলেছে হাওড়া, হুগলি, পশ্চিম বর্ধমান সহ একাধিক জেলার নিচু এলাকায়


প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত দক্ষিণবঙ্গ

হাওয়া অফিস জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাষ্প টেনে আনা নিম্নচাপ বর্তমানে স্থায়ী হয়ে পড়েছে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মৌসুমী অক্ষরেখা, যার ফলে টানা দুই-তিন দিন ধরে দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিতে ইতিমধ্যেই জলমগ্ন হয়ে পড়েছে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, পূর্ব মেদিনীপুরের একাধিক এলাকা।

জয়সলমীরের মাটি থেকে এত বড় জলের ফোয়ারা কিভাবে বেরিয়ে এল? সরস্বতী নদী নিয়ে এত আলোচনা কেন?

গাজায় জল সংকট চরমে: সমুদ্রের নোনতা-দূষিত জলই ভরসা!


DVC-র তরফে জল ছাড়া: উদ্বেগের কারণ

DVC সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে ছাড়া হয়েছে ৪৬ হাজার কিউসেক জল। পাশাপাশি মাইথন ও পাঞ্চেত ড্যাম থেকেও ছাড়া হচ্ছে ৪০ হাজার কিউসেকের বেশি জল। পরপর ভারী বৃষ্টির ফলে জলস্তর বাড়ায় বাধ্য হয়ে DVC এই পদক্ষেপ নিয়েছে।

তবে এখানেই শেষ নয়। গতকাল পর্যন্ত যেখানে ৪০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছিল, আজ সেখানে আরও ৬ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে, যার ফলে জলমগ্ন হওয়ার সম্ভাবনা আরও বাড়ছে নিচু এলাকাগুলিতে।


জল কোথায় কোথায় যাচ্ছে? প্লাবনের আশঙ্কা কোথায় বেশি?

DVC-র জল সাধারণত নেমে আসে দামোদর, রূপনারায়ণ, অজয় ও অন্যান্য নদীর মাধ্যমে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়।
বিশেষ করে নিচু এলাকা ও নদী তীরবর্তী অঞ্চলে জলস্তর বাড়লে:

  • হাওড়া ও হুগলি জেলার আমতা, উদয়নারায়ণপুর, জাঙ্গিপাড়া, চণ্ডীতলা, আরামবাগে প্লাবনের আশঙ্কা

  • পূর্ব বর্ধমানের কালনা ও মন্তেশ্বর এলাকাও জলের চাপে বিপর্যস্ত হতে পারে

  • পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, নদিয়ার কিছু নিচু এলাকাও সতর্ক পর্যায়ে

প্রতি বছর বর্ষাকালে ডিভিসি জল ছাড়লেই এই জেলাগুলিতে বন্যার পরিস্থিতি তৈরি হয়। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি।


বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক

হাওড়া, হুগলি, ও বর্ধমানের নিচু এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কে রয়েছেন। একাধিক জায়গায় লোকজন ইতিমধ্যেই বাড়ির নিচের তলা থেকে উঠে গেছেন দোতলায়। জমি, ফসল ও পশুসম্পদের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কাও রয়েছে।

স্থানীয় প্রশাসন বলছে, পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে। বিপর্যয় মোকাবিলা দল প্রস্তুত রয়েছে, এবং জলস্তর বাড়লে প্রয়োজনে নৌকো ও ত্রাণ সরবরাহের ব্যবস্থা করা হবে।


হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস

আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণবঙ্গে আরও প্রবল বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি ও পূর্ব মেদিনীপুরে ‘অরেঞ্জ অ্যালার্ট’ জারি করা হয়েছে। বৃষ্টির পরিমাণ ৭০ থেকে ১২০ মিমি হতে পারে।


সরকারি সতর্কতা ও পরামর্শ

  • নিচু এলাকায় বসবাসকারী মানুষদের জলস্তরের খোঁজ রাখতে বলা হয়েছে

  • নদীর ধারে না যেতে বলা হচ্ছে

  • জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ

  • স্থানীয় প্রশাসনের হেল্পলাইন নম্বর ও আপডেট শুনে চলতে বলা হচ্ছে

আরও পড়ুন :

প্রতিদিন ৯ ঘণ্টা ঘুমিয়ে জিতলেন ১৩ লাখ টাকা! জানুন অভিনব ইন্টার্নশিপের গল্প

আর সময় নেই! SSC CHSL ২০২৫ ফর্ম ফিলাপের শেষ তারিখ ১৮ জুলাই, জেনে নিন সব খুঁটিনাটি

ad

আরও পড়ুন: