Breaking News

JEETopper DebdattaMajhi

JEE Advanced 2025 : সারা দেশের মধ্যে মেয়েদের মধ্যে প্রথম — কাটোয়ার দেবদত্তা মাঝি!

আগে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকেও রাজ্যস্তরে করেছিলেন অসাধারণ ফল

JEETopper DebdattaMajhi Achieves Historic Rank %%page%% %%sep%% %%sitename%%

JEETopper DebdattaMajhi

ক্লাউড টিভি ডেস্ক : আজ ঘোষণা হল দেশের অন্যতম কঠিন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা JEE Advanced 2025-এর ফলাফল। এ বছরের পরীক্ষার আয়োজন করেছিল IIT Kanpur। যেখানে গোটা দেশের লক্ষ লক্ষ মেধাবী পরীক্ষার্থীর মধ্যে মেয়েদের মধ্যে সর্বোচ্চ র‍্যাঙ্ক অর্জন করেছেন পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়ার মেয়ে দেবদত্তা মাঝি

এই সাফল্য শুধু দেবদত্তার একার নয়, এটি বাংলা তথা দেশের জন্য এক গর্বের মুহূর্ত। কারণ, ৩৬০ নম্বরের পরীক্ষায় দেবদত্তা পেয়েছেন ৩১২, যা তাঁকে সার্বিকভাবে কমন র‍্যাঙ্ক লিস্টে ১৬তম স্থান এনে দিয়েছে। JEE Advanced-এর ইতিহাসে এটি বাংলার মেয়েদের মধ্যে অন্যতম সর্বোচ্চ র‍্যাঙ্ক।

দেবদত্তা মাঝি কাটোয়া শহরের একটি সাধারণ পরিবারের মেয়ে। তাঁর বাবা একজন স্কুলশিক্ষক এবং মা গৃহবধূ। ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনায় মেধাবী দেবদত্তা আগে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক উভয় পরীক্ষাতেই রাজ্যস্তরে শীর্ষস্থান অর্জন করেন।

গম্ভীরকে চিন্তায় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড , ১০ টেস্ট ম্যাচে হার ৬টিতে

ফিরে দেখা ২০২৪: প্যারিস অলিম্পিকে মনু ভাকেরের সাফল্য অনুপ্রাণিত করেছে ভারতের তরুণ ক্রীড়াবিদদের

 

তাঁর কোচিংয়ের গাইডেন্স, আত্মনিবেদন এবং কঠোর অধ্যবসায়ই এই অসাধারণ সাফল্যের পেছনে প্রধান চালিকাশক্তি বলে জানিয়েছে তাঁর পরিবার।

এই ঐতিহাসিক সাফল্যের পর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই অভিনন্দন জানিয়েছেন দেবদত্তাকে।
সামাজিক মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন:

“বাংলার নাম উজ্জ্বল করার জন্য বর্ধমানের মেয়েকে আমার শুভেচ্ছা। সর্বভারতীয় স্তরে আইআইটি খড়্গপুর জোন থেকে প্রথম হওয়া প্রশংসনীয়। এর আগে তুমি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকেও নজির গড়েছিলে। এবার গোটা দেশের শীর্ষে তুমি। বাংলার মুখ উজ্জ্বল করেছো। আগামী দিনের জন্য অনেক শুভেচ্ছা।”

দেবদত্তার এই অর্জনে শুধু পরিবার নয়, খুশি তাঁর স্কুল ও স্থানীয় শিক্ষামহলও। তাঁকে ইতিমধ্যেই ‘বাংলার প্রেরণা’ বলে অভিহিত করা শুরু হয়েছে।

দেবদত্তা জানিয়েছেন, তিনি ভবিষ্যতে IIT Bombay থেকে কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করতে চান। তাঁর স্বপ্ন হলো গবেষণার জগতে প্রবেশ করে প্রযুক্তি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রে কিছু নতুন উদ্ভাবন ঘটানো।

এই পরীক্ষার জন্য তিনি দিনে প্রায় ১০-১২ ঘণ্টা পড়াশোনা করতেন এবং নিয়মিত অনলাইন ও অফলাইন টেস্টে অংশ নিতেন। নিজের এই যাত্রাকে তিনি ‘ধৈর্য, অভ্যাস ও বিশ্বাস’-এর মিশেল বলেই ব্যাখ্যা করেছেন।

আরও পড়ুন :

রোহিতের আইপিএল দৌড় থামালেন শ্রেয়স আয়ার, এবার কি তবে বিরাটের পালা

গাজা এখন বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষুধার্ত এলাকা: জাতিসংঘ

ad

আরও পড়ুন: