Lalmonirhat WW2Airbase
ক্লাউড টিভি ডেস্ক: বাংলাদেশের লালমনিরহাটে অবস্থিত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার বিমানঘাঁটি পুনরুদ্ধারের উদ্যোগ ভারতের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। এই বিমানঘাঁটি (Lalmonirhat WW2Airbase), যা ব্রিটিশ আমলে নির্মিত হয়েছিল, বর্তমানে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর অধীনে রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এটি নিষ্ক্রিয় থাকলেও, সম্প্রতি চীনের সহায়তায় এটি পুনরুদ্ধারের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
এই বিমানঘাঁটির অবস্থান ভারতের ‘চিকেনস নেক’ বা সিলিগুড়ি করিডরের খুব কাছাকাছি, যা ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে মূল ভূখণ্ডের সংযোগস্থল। এই করিডরটি ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এর নিরাপত্তা নিয়ে ভারত সবসময় সতর্ক থাকে।
ভারতের প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা এই উদ্যোগকে ভারতের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে দেখছেন। তারা মনে করছেন, চীনের সহায়তায় এই বিমানঘাঁটি পুনরুদ্ধার হলে, তা ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের দিকে চীনের প্রভাব বিস্তারের একটি কৌশল হতে পারে। এটি ভারতের জন্য একটি নতুন ভূরাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিতে পারে।
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং বলেছেন, “আমরা আমাদের সীমান্তের নিরাপত্তা নিয়ে অত্যন্ত সতর্ক।” তিনি আরও বলেন, “যদি কোনো দেশ আমাদের নিরাপত্তায় হস্তক্ষেপ করে, তাহলে আমরা তার যথাযথ জবাব দেব।”
এই পরিস্থিতি দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই উদ্যোগ ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের নতুন দিক উন্মোচন করতে পারে। এটি ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের জন্য একটি টেস্ট কেস হতে পারে, যেখানে প্রতিবেশী দেশের নিরাপত্তা এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
এই উদ্যোগের বিরুদ্ধে ভারতের প্রতিক্রিয়া কেমন হবে এবং বাংলাদেশ এই পরিস্থিতি কীভাবে মোকাবিলা করবে, তা সময়ই বলে দেবে। তবে, এটি স্পষ্ট যে, দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি দ্রুত পরিবর্তনশীল এবং এর প্রভাব শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর উপরই নয়, বরং গোটা অঞ্চলের উপর পড়বে।
আরও পড়ুন :
হার্ভার্ডে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ: ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস হতাশ, পদত্যাগের ইঙ্গিত