Leptospirosis Jalpaiguri HealthAlert
ক্লাউড টিভি ডেস্ক: জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ ব্লকের চেকরমারি গ্রামে লেপ্টোস্পাইরা বা ইঁদুর জ্বরের প্রকোপ দ্রুত বেড়ে চলেছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত গ্রামে ১৫ জন আক্রান্তের খবর ছিল। কিন্তু নতুন করে ৬৭ জনের রক্তের নমুনা পরীক্ষার জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হলে বুধবার রিপোর্ট আসে, যাতে আরও ৫৮ জনের দেহে এই রোগের সংক্রমণ ধরা পড়ে। ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৩ জনে।
স্বাস্থ্য দফতরের অনুমান, গ্রামটির একটি বড় হ্যাচারিতে প্রচুর পরিমাণে মুরগির মল জমে থাকায় ইঁদুরের আনাগোনা বেড়েছে। ইঁদুরের মূত্রের মাধ্যমে ছড়ানো ব্যাকটেরিয়া লেপ্টোস্পাইরার সংস্পর্শে এসে মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই রোগ সাধারণত বন্যা, নোংরা জল, বা পচা আবর্জনার সংস্পর্শে আসা মানুষের মধ্যে ছড়ায়।
জলপাইগুড়িতে ১৫ জন আক্রান্ত, ইঁদুরবাহিত লেপ্টোস্পাইরা নিয়ে উদ্বেগ
ধূপগুড়িতে বুনো হাতির তাণ্ডব, চার ঘণ্টায় প্রাণ গেল দুই চা-বাগান শ্রমিকের
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আক্রান্তদের সবারই উচ্চ জ্বর রয়েছে এবং বেশিরভাগের ক্ষেত্রে পায়ে তীব্র যন্ত্রণা হচ্ছে। কেউ কেউ মাথাব্যথা, ঠান্ডা লাগা, শরীরে ফুসকুড়ি এবং দুর্বলতার মতো উপসর্গের কথাও জানিয়েছেন। যদি সময়মতো চিকিৎসা না হয়, তবে কিডনি ও লিভারের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।
রোগের বিস্তার রুখতে স্বাস্থ্য দফতর ওই এলাকায় নজরদারি বাড়িয়েছে। গ্রামজুড়ে সচেতনতা প্রচার শুরু হয়েছে। মানুষকে গ্লাভস, বুট ও মাস্ক ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে, বিশেষ করে যাঁরা হ্যাচারি বা পুকুরের আশপাশে কাজ করেন।
চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, লেপ্টোস্পাইরোসিস একটি প্রতিরোধযোগ্য রোগ। নোংরা জল বা ইঁদুরের মূত্রের সংস্পর্শ এড়ানো, খাবার ঢেকে রাখা এবং সঠিক স্যানিটেশন বজায় রাখাই প্রতিরোধের প্রধান উপায়। আক্রান্ত হলে তৎক্ষণাৎ চিকিৎসা শুরু করলে সুস্থ হয়ে ওঠা সম্ভব।
আরও পড়ুন :
বাংলায় কথা বললেই হেনস্থা! সুপ্রিম কোর্ট ১০ রাজ্যকে হলফনামা দিতে বলল