SabitriMitra TMC
ক্লাউড টিভি বাংলা ডেস্ক | মালদা : কাশ্মীরের পেহেলগাম হামলা নিয়ে এবার এক বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রবীণ নেত্রী ও মানিকচক বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র (SabitriMitra TMC)। তাঁর দাবি, “জঙ্গিরা কখনও ট্যুরিস্টদের মারে না। বরং তাঁরা ট্যুরিস্টদের সম্মান জানান।” এই বক্তব্য ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে তীব্র আলোড়ন শুরু হয়েছে।
কাশ্মীরে পেহেলগামের সন্ত্রাসী হামলায় ধসে পড়ল অর্থনীতি ও কূটনীতি: উদ্বেগে মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ
কী বললেন সাবিত্রী মিত্র?
সোমবার মালদার মানিকচকে একটি ভাষা আন্দোলনের সভা থেকে সাবিত্রী মিত্র বলেন—
“পেহেলগাম হামলায় যে পর্যটকেরা প্রাণ হারালেন, তাঁরা কাদের হাতে নিহত হলেন তা এখনও স্পষ্ট নয়। তদন্ত হয়নি। জঙ্গিরা সাধারণত ট্যুরিস্টদের মারে না, বরং তাদের সম্মান করে। তাহলে কারা মারলো?”
তিনি আরও বলেন—
“পুলওয়ামা কাণ্ডে যখন রক্তাক্ত অবস্থায় আমাদের ফোর্সদের মরতে দেখা গেল, তখন কেউ তাঁদের উদ্ধার করতে গেল না। যথেষ্ট ফোর্স থাকলেও কেন সেইদিন তারা সক্রিয় হলো না? বিজেপি নিজেই তদন্ত করে এসব চাপা দেওয়ার চেষ্টা করে।”
ধর্মীয় শিক্ষা ও সনাতন ধর্ম নিয়ে তীব্র কটাক্ষ
ভাষা আন্দোলনের মঞ্চ থেকেই হিন্দু ধর্মীয় শিক্ষার অভাব নিয়ে মন্তব্য করেন তিনি। সাবিত্রী মিত্র বলেন—
“হিন্দুদের কোনও ধর্মশিক্ষা নেই। কোথা থেকে সনাতন ধর্ম এসেছে, তার কোনও ক্লাস হয় না। কিন্তু আরবি শেখানো হয়, কোরআন শরিফ পড়ানো হয়। হিন্দুদের একাংশ এতটাই বোকা যে রামের ছবি দেখালেই তারা ভোট দিয়ে দেয়।”
তিনি সরাসরি অভিযোগ করেন—
“বাংলায় বাঙালিদের আক্রমণ হলে আমরা ছাড়বো না। বাংলা ভাষার উপর আক্রমণ হলেও ছাড়বো না।”
এই মন্তব্যের বিরোধিতা করে উত্তর মালদার বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন,
“যদি জঙ্গিরা ট্যুরিস্টদের না মারে, তাহলে পেহেলগামে কী ঘটল? যারা হামলা চালিয়েছে তারা পাকিস্তানি জঙ্গি। তৃণমূল বরাবরই তুষ্টিকরণের রাজনীতি করে এসেছে। এই মন্তব্য শুধু জঙ্গিদের মদত দেওয়া নয়, শহিদ পরিবারগুলোর অপমানও।”
সাবিত্রী মিত্রের এই মন্তব্য এমন এক সময় এল যখন কাশ্মীরের পেহেলগাম এলাকায় এপ্রিলের হামলায় পর্যটকদের মৃত্যু নিয়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা তুঙ্গে। কেন্দ্রীয় সরকার ও বিজেপি এই হামলার দায় জঙ্গিদের ওপর চাপালেও, তৃণমূল এই ঘটনার সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
এছাড়া, ধর্মীয় শিক্ষা এবং হিন্দু ধর্মীয় অনুশীলন নিয়ে তাঁর বক্তব্য হিন্দু ভোটারদের একটি বড় অংশের মধ্যে বিভ্রান্তি ও ক্ষোভের সৃষ্টি করতে পারে বলেই মত রাজনৈতিক মহলের।
আরও পড়ুন :
শ্রাবণ যাত্রায় মৃত্যু ৮ পুণ্যার্থীর, ঝাড়খণ্ডের দেওঘরে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা