Breaking News

Bengali Migrant Workers ConstitutionalRights

বাংলায় কথা বললেই হেনস্থা! সুপ্রিম কোর্ট ১০ রাজ্যকে হলফনামা দিতে বলল

ভাষাগত বৈষম্যের অভিযোগে বড় পদক্ষেপ সুপ্রিম কোর্টের—বাংলা ভাষাভাষী পরিযায়ী শ্রমিকদের হেনস্থার ঘটনায় ১০ রাজ্য ও কেন্দ্রকে রিপোর্ট দিতে নির্দেশ।

Bengali Migrant Workers Constitutional Rights Explained %%page%% %%sep%% %%sitename%%

Bengali Migrant Workers ConstitutionalRights

ক্লাউড টিভি ডেস্ক: ভাষা বৈষম্য নিয়ে ফের সরগরম দেশ। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ, বিশেষ করে ভিনরাজ্যে কাজ করতে যাওয়া বাঙালি শ্রমিকরা কেবলমাত্র বাংলা ভাষায় কথা বলার জন্য অপমানিত ও হেনস্থার শিকার হচ্ছেন—এমন অভিযোগ নিয়ে সরাসরি নড়েচড়ে বসল সুপ্রিম কোর্ট (Bengali Migrant Workers ConstitutionalRights) । আজ বৃহস্পতিবার জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে শীর্ষ আদালত দেশের দশটি রাজ্যকে এ বিষয়ে হলফনামা জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারকেও রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।

এই মামলার আবেদনকারী রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ সামিরুল ইসলাম। তিনি রাজ্য মাইগ্রেন্ট ওয়ার্কার ওয়েলফেয়ার বোর্ডের পক্ষে দাঁড়িয়ে জানান, বিগত কয়েক মাস ধরে ভারতের একাধিক রাজ্যে বাংলা ভাষাভাষী পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হচ্ছে। তাঁদের কেবল ‘বাংলাদেশি’ বলে চিহ্নিত করেই থামা হচ্ছে না, অনেক ক্ষেত্রে মারধর, অপমান ও সামাজিক বঞ্চনার মতো ঘটনাও ঘটছে।

আবেদনকারীর দাবি, দিল্লি, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান, ওড়িশা, গুজরাট, হরিয়ানা, তামিলনাড়ু, কর্নাটক, তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্রপ্রদেশ—এই রাজ্যগুলিতে বারবার এই ধরনের ঘটনা ঘটছে বলে প্রমাণ রয়েছে। বহু মানুষ নিজের অভিজ্ঞতা জানিয়েছে, কিন্তু অনেক সময় পুলিশ প্রশাসনও অভিযোগ নিতে অনীহা দেখিয়েছে।

আজ মামলাটি বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চে ওঠে। আদালত আবেদনকারীর সব যুক্তি শোনার পর সংশ্লিষ্ট দশ রাজ্যকে আগামী সপ্তাহের মধ্যে বিস্তারিত হলফনামা দিতে নির্দেশ দেয়। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারকেও ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। আদালত জানিয়েছে, এ ধরনের ঘটনা সত্যি হলে তা ভারতীয় সংবিধানের ভাষাগত ও সাংবিধানিক অধিকারের লঙ্ঘন।

ভাষাগত অধিকার ও সংবিধান:
ভারতের সংবিধানের ১৯ নম্বর অনুচ্ছেদ নাগরিকদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করে, যার মধ্যে নিজের ভাষায় কথা বলার অধিকারও অন্তর্ভুক্ত। পাশাপাশি ৩৫১ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে আঞ্চলিক ভাষার উন্নয়ন ও সংরক্ষণের জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে। কিন্তু ভিনরাজ্যে কর্মরত বাঙালিদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ এই সাংবিধানিক প্রতিশ্রুতির বিপরীত বলেই মামলাকারীর দাবি।

বিচিত্র সংবাদ: যে দেশে ব্যাচেলর থাকলে দিতে হয় ট্যাক্স!

বকেয়ার ২৫% কেন দেওয়া হল না? সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলায় উত্তাল পরিস্থিতি, রাজ্য চাইল আরও ৬ মাস সময়

রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিক্রিয়া:
ঘটনা সামনে আসতেই পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে বিজেপি শাসিত ও অন্যান্য রাজ্যগুলিতে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি বৈরিতার অভিযোগ তুলেছে। অন্যদিকে, বিরোধী শিবিরের দাবি, এই বিষয়টিকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে, যদিও শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি।

আগামী পদক্ষেপ:
সুপ্রিম কোর্ট আগামী সপ্তাহে এই মামলার পরবর্তী শুনানি করবে। তখন ১০ রাজ্যের হলফনামা ও কেন্দ্রের রিপোর্ট আদালতে পেশ করা হবে। মামলার ফলাফল ভাষাগত সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষায় একটি গুরুত্বপূর্ণ নজির স্থাপন করতে পারে বলে মনে করছেন আইন বিশেষজ্ঞরা।

আরও পড়ুন :

নতুন ২১ বাংলাদেশির তালিকা ঘিরে পশ্চিমবঙ্গে চাঞ্চল্য

আইসিসি পুরুষদের ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিং: বাবর আজমকে টপকে রোহিত দ্বিতীয় স্থানে; গিল শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন

ad

আরও পড়ুন: