Kolkata Hotel Fire Tragedy
কলকাতা, ৩০ এপ্রিল: কলকাতার হৃদয়স্থল বড়বাজারে মেছুয়ার ফলপট্টি এলাকার এক আবাসিক হোটেলে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় (২৯ এপ্রিল) ঘটে গেল এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড (Kolkata Hotel Fire Tragedy)। আগুনে দগ্ধ ও ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে অন্তত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দমকল সূত্রে জানা গেছে। ঘটনাটি চরম আতঙ্ক ছড়িয়েছে পুরো এলাকায়। এখনও পর্যন্ত দমকল বাহিনী উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে এবং ভিতরে আর কেউ আটকে আছেন কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
দমকল বাহিনীর প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, ঘটনাস্থলে হোটেলটির প্রায় ৪৭টি কক্ষে শতাধিক মানুষ ছিলেন। হঠাৎ আগুন ছড়িয়ে পড়ে এবং মুহূর্তের মধ্যে পুরো হোটেল (Kolkata Hotel Fire Tragedy) ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল যে, পুরো বিল্ডিংটি যেন ‘গ্যাসচেম্বারে’ পরিণত হয়। অধিকাংশ মানুষ ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে মারা যান। দমকল কর্মীদের মতে, ভিতরে প্রবেশ করা ছিল অসম্ভব। তাই জানালা ভেঙে মই দিয়ে চারতলা ও পাঁচতলায় উঠে উদ্ধার কাজ চালাতে হয়।
নিহতদের মধ্যে আনন্দ পাসোয়ান নামে একজন আতঙ্কে ছাদ থেকে নিচে লাফিয়ে পড়ে গুরুতর আহত হন। তাকে দ্রুত কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
এই অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে আনতে দমকলের ১০টিরও বেশি ইঞ্জিন কাজ করে। তবুও আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লেগে যায়। আজ সকাল পর্যন্ত আগুন কিছুটা কমলেও, এখনও কিছু অংশে ধোঁয়া বেরোচ্ছে। দমকল কর্মীরা বিল্ডিংয়ের প্রতিটি ঘর তল্লাশি করছেন, ভিতরে আর কোনো মৃতদেহ বা আটকে পড়া মানুষ রয়েছেন কি না তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য।
ঘটনার খবর পেয়ে রাত ৩টায় ঘটনাস্থলে (Kolkata Hotel Fire Tragedy) পৌঁছান কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা এবং রাজ্যের শিশু কল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা। তাঁরা উদ্ধার কাজ তদারকি করেন এবং দমকল কর্মীদের সঙ্গে পরামর্শ করেন।
অতীতের ময়দান: জ্যোতিষ গুহ থেকে ধীরেন দের সামনে তখন খেলোয়াড়দের মুখোমুখি হওয়াটাই ছিল বিরাট ব্যাপার
কলকাতা পুলিশের কমিশনার মনোজ বর্মা জানিয়েছেন, অগ্নিকাণ্ডের কারণ খতিয়ে দেখতে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, শর্ট সার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত। তবে হোটেলটির অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থার ঘাটতি ছিল কি না, সে বিষয়ে তদন্ত চলছে।
এদিকে এলাকাবাসীর অভিযোগ, হোটেলটিতে অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না বললেই চলে। নেই কোন অ্যালার্ম সিস্টেম বা জরুরি নির্গমনের ব্যবস্থা। ফলে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে বলেই মনে করছেন অনেকেই।
এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে শহরের বাণিজ্যিক এলাকার আবাসিক হোটেলগুলির নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, সমস্ত হোটেল ও গেস্ট হাউসগুলিতে অগ্নিনিরাপত্তা সংক্রান্ত নিরীক্ষা অভিযান শুরু হবে।
#বড়বাজার_অগ্নিকাণ্ড #KolkataFire #HotelFireTragedy #FireSafety #কলকাতা_খবর #FireAccident #EmergencyResponse #FirhadHakim #WestBengalNews
আরও পড়ুন :
লোকার্নো ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ক্যারিয়ার অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছেন জ্যাকি চ্যান, বিশ্বজুড়ে উচ্ছ্বাস
২৮ বছর পর বৈশাখে ‘শীতল’ রাত! কলকাতায় তাপমাত্রা কমল ২০ ডিগ্রি, চমকে দিল আবহাওয়া