Riju Biswas Controversy
							ক্লাউড টিভি ডেস্ক : অভিনেতা ঋজু বিশ্বাস সম্প্রতি এক বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছেন। বিভিন্ন মহিলাকে হঠাৎ করে ব্যক্তিগত বার্তা পাঠানোর অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই বিষয় নিয়ে শুরু হয় ব্যাপক আলোচনা। অভিযোগের পরেই মুখ খোলেন অভিনেতা। তবে তিনি জানান, উদ্দেশ্য ছিল বন্ধুত্ব করা ও নতুন মানুষকে চেনা। কিন্তু ভুল ব্যাখ্যা হওয়ায় তিনি দুঃখিত।
প্রথমে বিষয়টি শুধু ব্যক্তিগত আলাপ বলে ধরে নেওয়া হয়েছিল। যদিও ক্রমেই তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। ফলে তাঁর বিরুদ্ধে ‘অপ্রত্যাশিত বার্তা পাঠানো’ নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এর পরেই নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন তিনি। পাশাপাশি ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হওয়ায় ক্ষমাও চান।
‘গৌতম যেখানে যাবেন, হার্ষিতও থাকবেন’ : ডিনার পার্টি ঘিরে তীব্র বিতর্ক
ঋজুর দাবি, অনেক মানুষ নতুন বন্ধুত্ব করতে আগ্রহী থাকেন। অথচ সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন আচরণকে অনেক সময় ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হয়। ফলে তিনি বুঝতে পারেন, ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করাটা সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নাও হতে পারে। তবে এই আচরণের উদ্দেশ্য ছিল একেবারেই স্বচ্ছ—এমনটাই দাবি তাঁর। তাই তিনি কারও ব্যক্তিগত মর্যাদায় আঘাত করতে চাননি।
তবে নেটিজেনদের একাংশ মনে করছেন, পরিচয় ছাড়া মহিলাদের বার্তা পাঠানো অনেকের কাছে অস্বস্তিকর হতে পারে। তাই সমালোচনা ওঠা অস্বাভাবিক নয়। অন্যদিকে, কিছু মানুষ অভিনেতার সমর্থনে এসে জানান, নতুন বন্ধুত্ব করতে চাওয়াটা অপরাধ নয়। বরং সমাজে আজও নারী-পুরুষের স্বাধীন যোগাযোগকে ঘিরে নানা মনোভাব কাজ করে।
অভিনেতা আরও বলেন, বর্তমান সময়ে সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের যোগাযোগের মাধ্যম। তাই ব্যক্তিগতভাবে কথা বলা অস্বাভাবিক নয়। যদিও তিনি জোর দিয়ে বলেন, কারও সম্মতি ছাড়া বিরক্ত করার কোনও উদ্দেশ্য তাঁর ছিল না। তাই বিতর্কের পরে তিনি আর সেই আচরণ করবেন না বলে জানান।
এদিকে, অনেকেই তাঁকে পরামর্শ দেন—সেলিব্রিটি হিসেবে আচরণে আরও সতর্ক হওয়া উচিত। কারণ তাঁদের প্রতিটি কাজ নজরে থাকে। ফলে সাধারণ বন্ধুত্বের প্রচেষ্টা থেকেও ভুল বার্তা পৌঁছাতে পারে। এই পরিস্থিতি অভিনেতাকেও ভাবিয়ে তুলেছে। তাই তিনি ভবিষ্যতে আরও সতর্ক থেকে সোশ্যাল যোগাযোগ বজায় রাখবেন বলে জানান।
এমন ঘটনার মাঝে উঠে এসেছে সমাজের মানসিকতার বিষয়ও। যদিও মানুষ যুক্তি দেন মুক্ত সম্পর্কের পক্ষে, তবুও বাস্তবে বহু ক্ষেত্রে নারীকে হঠাৎ করে বার্তা পাঠানো ‘অসুবিধাজনক’ বলা হয়। তাই এই বিতর্ককে অনেকেই দেখছেন সামাজিক ধ্যানধারণার সংঘর্ষ হিসেবে। তবুও অভিনেতার বক্তব্য — কারও অনুভূতিতে আঘাত না করেই সামাজিক সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করা উচিত।
তবে তিনি আশা প্রকাশ করেন যে মানুষ তাঁর ব্যাখ্যা বুঝে নেবেন। একই সঙ্গে তিনি চান সোশ্যাল মিডিয়া যেন শুধু বিতর্কের জায়গা না হয়। বরং যোগাযোগ ও সম্পর্ক তৈরির মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হোক।
আরও পড়ুন :
জুবিন গর্গের শেষ ছবি ‘রই রই বিনালে’ আসামে ঝড় তুলল, ভোরবেলা শো-তে হাউসফুল! কান্নায় ভাসছে ভক্তরা
“বুথ যুদ্ধের নির্দেশনায় তৃণমূল: Abhishek Banerjee বললেন—‘বিএলওদের সঙ্গে সবসময় থাকুন’”