BankimChandraHazra
ক্লাউড টিভি ডেস্ক : সাগরদ্বীপে ফের উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সম্প্রতি অভিযোগ করেছিলেন যে, কচুবেড়িয়া ভেসেল পরিষেবার টাকা কালেকশন থেকে নিয়মিতভাবে তৃণমূল কংগ্রেসকে অর্থ তুলে দেওয়া হচ্ছে। তাঁর অভিযোগ, ধমক দিয়ে সিসিটিভি ক্যামেরা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং যত টাকা উঠছে তার এক-তৃতীয়াংশ তৃণমূলের অফিসে দিতে হচ্ছে। শুভেন্দুর দাবি, আগে প্রতিদিন প্রায় ১৮ হাজার টাকা কালেকশন হলেও, এখন তা কমে ১২ হাজারে নেমে এসেছে। বাকি ৬ হাজার টাকা নাকি যাচ্ছে শাসকদলের দফতরে (BankimChandraHazra)।
বিরোধী দলনেতা সরাসরি সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরার নাম উল্লেখ করে বলেন, এই গোটা দুর্নীতির পিছনে তিনি দায়ী। তাঁর মন্তব্য ঘিরেই রাজনৈতিক অঙ্গনে শোরগোল শুরু হয়।
মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করে বলেন, “মাননীয় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী যে অভিযোগটা আমার বিরুদ্ধে করছে সর্বৈব মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন।” তিনি দাবি করেন, বিরোধী নেতার এ ধরনের মন্তব্য কেবল কুৎসা রটনার উদ্দেশ্যে করা হচ্ছে।
“‘অনেকের ঘুম উড়ে যাবে’: বিরোধী INDIA জোটকে কটাক্ষ মোদির, জবাব দিলেন শশী থারুর”
এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে গঙ্গাসাগরের কচুবেড়িয়া ভেসেল ঘাট এলাকায় ধিক্কার মিছিল সংগঠিত করে তৃণমূল কংগ্রেস। স্থানীয় নেতা, কর্মী ও সমর্থকরা অংশ নেন সেই মিছিলে। শ্লোগান ওঠে বিরোধী দলনেতার “মিথ্যা প্রচারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াই” করার ডাক দিয়ে। তৃণমূলের দাবি, এ ধরনের অভিযোগ শুধুই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, গঙ্গাসাগরের মতো গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় এই ধরনের অভিযোগ এবং পাল্টা প্রতিবাদ, ২০২৬ বিধানসভা ভোটের আগে রাজনৈতিক উত্তাপ আরও বাড়াবে। শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ বিজেপির আক্রমণাত্মক অবস্থানের ইঙ্গিত দিচ্ছে, অন্যদিকে তৃণমূল চাইছে মানুষের সামনে বিরোধী নেতাকে মিথ্যাবাদী হিসেবে প্রমাণ করতে।
আরও পড়ুন :
জীবনকৃষ্ণের জীবন কি একটি পুকুর বাঁচাতে পারবে? এটাই এখন সব থেকে প্রশ্ন