ShusthoChandannagar NephroCare
ক্লাউড টিভি ডেস্ক: চন্দননগরবাসীর জন্য এক অভিনব জনস্বাস্থ্য উদ্যোগের সূচনা হলো শনিবার, ১৬ আগস্ট ২০২৫। কলকাতাভিত্তিক বিখ্যাত কিডনি কেয়ার সংস্থা নেফ্রো কেয়ার ইন্ডিয়া লিমিটেড আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করল ‘সুস্থ্ চন্দননগর’ প্রকল্প। এই উদ্যোগের (ShusthoChandannagar NephroCare) লক্ষ্য—আন্তর্জাতিক মানের স্বাস্থ্য পরিষেবা, প্রতিরোধমূলক চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়া।
প্রকল্পটির উদ্বোধন হয় মঙ্কুন্ডুর সুপ্রিম নলেজ ফাউন্ডেশন কলেজ অডিটোরিয়ামে। উপস্থিত ছিলেন চন্দননগর পৌরসভার মেয়র রাম চক্রবর্তী, ভদ্রেশ্বর পৌরসভার চেয়ারম্যান প্রলয় চক্রবর্তী, এবং বিশিষ্ট চিকিৎসক ও অতিথিবৃন্দ।
আয়োজক সংস্থার বক্তব্য অনুযায়ী, এই প্রকল্প কেবল চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়াতেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং নাগরিকদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করার জন্য প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্যসেবা ও জীবনধারার পরিবর্তনে জোর দেবে। সাধারণ মানুষের জন্য বিনামূল্যে নানা সুবিধা রাখা হয়েছে—
ফ্রি স্বাস্থ্য পরীক্ষা: রক্তচাপ, রক্তে শর্করা, ওজন, বিএমআই ও অক্সিজেন স্যাচুরেশন পরীক্ষা।
স্বাস্থ্য সেমিনার: ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন ও কিডনি রোগ প্রতিরোধের উপায় নিয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ।
ডায়েটারি পরামর্শ: প্রশিক্ষিত পুষ্টিবিদদের কাছ থেকে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস বিষয়ক টিপস।
পুষ্টিকর খাবার বিতরণ: সচেতনতা কর্মসূচির অংশ হিসেবে স্বাস্থ্যকর নাশতা ও পানীয় সরবরাহ।
বিশিষ্ট নেফ্রোলজিস্ট ও কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট বিশেষজ্ঞ ড. প্রতীম সেনগুপ্ত এই প্রকল্পের প্রধান পরামর্শদাতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর কথায়—
“আধুনিক চিকিৎসাশাস্ত্র শুধু একটি অঙ্গের সমস্যা সারানোতেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং শরীরের সামগ্রিক সুস্থতা নিশ্চিত করাই আসল লক্ষ্য। নেফ্রো কেয়ার সেই দৃষ্টিভঙ্গিতেই এগোতে চায়।”
তিনি আরও জানান, প্রকল্পের অঙ্গ হিসেবে চালু হয়েছে ‘মুক্তি’ নামের একটি বিশেষ উদ্যোগ, যার লক্ষ্য রোগীর শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা একসঙ্গে উন্নত করা।
চন্দননগর পৌরসভার মেয়র রাম চক্রবর্তী অনুষ্ঠানে বলেন—
“এই ধরনের স্বাস্থ্য সচেতনতা কার্যক্রম শহরের প্রতিটি নাগরিকের কাছে পৌঁছানোই মূল লক্ষ্য। পৌরসভা সর্বতোভাবে এই উদ্যোগকে সমর্থন জানাবে।”
শুধু স্বাস্থ্য নয়, পরিবেশ সচেতনতার উপরও জোর দিয়েছে নেফ্রো কেয়ার। প্রকল্পের অংশ হিসেবে ইতিমধ্যেই চন্দননগরে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।
সংস্থার দাবি, ‘সুস্থ্ চন্দননগর’ কেবল একটি প্রচারাভিযান নয়, বরং এটি এক সামাজিক আন্দোলন, যা চন্দননগরকে জনস্বাস্থ্য সচেতনতার একটি আদর্শ শহরে রূপান্তরিত করতে সহায়ক হবে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, নিয়মিত ফ্রি চেক-আপ, ডায়েটারি পরামর্শ ও স্বাস্থ্যসেমিনারের মতো পদক্ষেপ সাধারণ মানুষকে গুরুতর অসুখ থেকে বাঁচাতে সাহায্য করবে। একইসঙ্গে নাগরিকদের মধ্যে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের অভ্যাস গড়ে তুলবে।
আরও পড়ুন :
টি–২০ বিশ্বকাপ ফাইনালের ক্যাচ নিয়ে রায়াডুর বিস্ফোরক দাবি