Breaking News

SilenceForGaza DigitalStrike

‘গাজার জন্য নীরবতা’: আধঘণ্টার ডিজিটাল প্রতিবাদের ডাক দিল সিপিআই(এম)

“গাজায় যখন শিশুরা ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ছে, তখন আপনার ফোন বন্ধ রাখাটা ছোট হতে পারে, কিন্তু এই নীরবতাই এক সাহসী উচ্চারণ।” — সিপিআই(এম)-এর বিবৃতি

SilenceForGaza DigitalStrike: A Global Movement %%page%% %%sep%% %%sitename%%

SilenceForGaza DigitalStrike

ক্লাউড টিভি ডেস্ক :  “রাত ৯টা থেকে ৯টা ৩০ – নীরবতা গাজার জন্য।” (SilenceForGaza DigitalStrike)
এই প্রতীকী আহ্বান নিয়ে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) তথা সিপিআই(এম) এবার সরব হল আন্তর্জাতিক স্তরে। বিশ্বজুড়ে চলা ‘Silence for Gaza’ কর্মসূচিকে সমর্থন জানিয়ে দল জানিয়েছে, প্রতিদিন নির্ধারিত আধঘণ্টা মোবাইল ফোন বন্ধ রাখা হবে ফিলিস্তিনের সাধারণ মানুষের প্রতি একাত্মতার শক্তিশালী বার্তা।

এই পদক্ষেপ নিছক একটি প্রতিবাদ নয় — বরং সিপিআই(এম)-এর মতে, এটি নজরদারি পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে একপ্রকার ধর্মঘট, যেখানে কর্পোরেট সংস্থাগুলোর প্রযুক্তিনির্ভর লভ্যাংশে আঘাত করা হচ্ছে, যারা ইজরায়েলের দখলদারীত্ব ও গণহত্যাকে সরাসরি বা পরোক্ষভাবে মদত দিচ্ছে।

আদিয়ালা জেলে ইমরান খানের ওপর যৌন নির্যাতনের অভিযোগ: রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য

নেতার ছবি নয়, এবার শুধু দলীয় প্রতীক: বিজেপি অফিসে ব্যাকড্রপে বদল ‘ব্যক্তিনির্ভরতা’ কমানোর কথা বলছে

সম্প্রতি জাতিসংঘ (UNCTAD) প্রকাশ করেছে এক বিস্ফোরক রিপোর্ট:
“From Economy of Occupation to Economy of Genocide” — যেখানে বিশদভাবে তুলে ধরা হয়েছে, কীভাবে বহু আন্তর্জাতিক কর্পোরেট সংস্থা ইজরায়েলের দখলদারীত্বে অংশীদার হচ্ছে।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই সংস্থাগুলো সামরিক সরঞ্জাম, নজরদারি প্রযুক্তি এবং অর্থনৈতিক লেনদেনের মাধ্যমে ইজরায়েলি আগ্রাসনের জন্য প্রয়োজনীয় কাঠামো গড়ে তুলছে। এই মডেল শুধুমাত্র গাজায় মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি করছে না, বরং একধরনের ‘গণহত্যার অর্থনীতি’ চালু করছে, যেখানে মুনাফাই মূল লক্ষ্য।

সিপিআই(এম) এই রিপোর্টের নির্যাস তুলে ধরে বলেছে —

“এই বহুজাতিক সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে হবে, তাদের দায় নিতে বাধ্য করতে হবে।”

CPI(M)-এর মতে, আমাদের প্রতিদিনের ডিজিটাল সক্রিয়তা — সোশ্যাল মিডিয়া, অ্যাপ ব্যবহার, সার্চ হিস্ট্রি — এই কর্পোরেট সংস্থাগুলোর কাছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও লাভের উৎস। এমনকি এই তথ্য ভিত্তিক অর্থনৈতিক মডেলই ‘ডেটা-মুনাফার’ মাধ্যমে ইজরায়েলি নীতিকে আর্থিকভাবে সমর্থন করছে।

সিপিআই(এম) এক বিবৃতিতে বলেছে:

“আমাদের মোবাইল ব্যবহারের প্রতিটি মুহূর্ত, প্রতিটি স্ক্রল বা লাইক — সেইসব সংস্থার কাছে লাভের পরিসংখ্যান, যারা গাজায় বোমাবর্ষণে মুনাফা কামাচ্ছে। তাই প্রতিদিন নির্ধারিত সময় মোবাইল বন্ধ রাখা নিছক এক মিনিটের নীরবতা নয় — এটি প্রতিরোধ, এটি প্রতিক্রিয়া।”


 কীভাবে অংশ নেবেন এই ডিজিটাল প্রতিবাদে?

সিপিআই(এম) সাধারণ নাগরিকদের জন্য স্পষ্টভাবে কর্মপদ্ধতি জানিয়েছে:

  • প্রতিদিন রাত ৯টা থেকে ৯টা ৩০ পর্যন্ত মোবাইল ফোন সম্পূর্ণ বন্ধ রাখুন।

  • এই সময় কোনো সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাক্টিভিটি (পোস্ট, লাইক, কমেন্ট) করবেন না।

  • বাড়ির অন্য সদস্যদেরও এই ‘ডিজিটাল ধর্মঘটে’ অংশ নিতে উৎসাহিত করুন।

  • চাইলে দিনের বাকি সময়ে এই কার্যক্রমের বার্তা ছড়িয়ে দিন।

এটি এমন এক প্রতিবাদ যা গড়ে উঠেছে “সংহতি ও নীরবতার” যুগল সুরে

সিপিআই(এম)-এর এই উদ্যোগ ইতিমধ্যে বিভিন্ন বামপন্থী ছাত্র, যুব ও শ্রমিক সংগঠনের মধ্যে সাড়া ফেলেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় হ্যাশট্যাগ #SilenceForGaza এবং #DigitalStrike ব্যবহার করে প্রচার শুরু হয়েছে।

SilenceForGaza DigitalStrike to show solidarity with Palestinians by turning off your mobile phones for thirty minutes

দলের নেতারা বলেছেন, এটি কোনো র‍্যালি নয়, কোনো প্ল্যাকার্ড নয় —

“এটি হল অদৃশ্য অথচ কার্যকর এক প্রতিবাদ, যেখানে প্রতিটি চুপচাপ মুহূর্ত গাজার পাশে দাঁড়ানোর প্রতীক হয়ে উঠছে।”

অন্যদিকে, বিজেপি শিবির এই কর্মসূচিকে “প্রতীকবাদী বামপন্থার চাতুর্য” বলে কটাক্ষ করেছে, যদিও এ নিয়ে কোনো সরকারিভাবে পাল্টা প্রতিক্রিয়া আসেনি।

আরও পড়ুন :

ব্রিটিশ F‑35B স্টিলথ জেটের ৩ সপ্তাহের ‘ছুটি’ শেষে টোয়িং ও হ্যাংগার যাত্রা

ট্রাম্পের ‘ডিপোর্ট’ হুমকি: এলন মাস্কের বিরুদ্ধে রাজনীতির নতুন অস্ত্র?

ad

আরও পড়ুন: