Breaking News

TeacherRecruitmentScam

সুপ্রিম কোর্টের রায়ে কোণঠাসা ‘অযোগ্য’ শিক্ষকেরা

শিক্ষক সমাজে প্রতিক্রিয়া মিশ্র – কেউ বলছেন ন্যায়, কেউ বলছেন পুনর্বিবেচনার দরকার ছিল

TeacherRecruitmentScam Exposed by Supreme Court %%page%% %%sep%% %%sitename%%

TeacherRecruitmentScam

২৩ মে ২০২৫, ক্লাউড টিভি :  শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অন্যতম বড় ধাক্কা খেলেন ‘অযোগ্য’ হিসাবে চিহ্নিত প্রার্থীরা। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দিল, যদি ওএমআর (OMR) শিটে কারচুপি হয়ে থাকে, তাহলে সেই প্রার্থীরা নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন না। একইসঙ্গে, বকেয়া বেতন সংক্রান্ত আবেদনের ক্ষেত্রেও কোনওরকম স্বস্তি দেওয়া হয়নি আদালতের তরফে। দুইটি গুরুত্বপূর্ণ আবেদনই খারিজ করে দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত।

সুপ্রিম কোর্টের এই রায়কে শুধুমাত্র একটি আইনি সিদ্ধান্ত বলে বিবেচনা করা যাবে না—এটি একপ্রকার কড়া বার্তা, যা দুর্নীতিপরায়ণ চাকরির প্রার্থীদের বিরুদ্ধে স্পষ্ট মনোভাব প্রতিফলিত করে। আদালত জানিয়েছে, যারা অবৈধভাবে ওএমআর শিটে কারচুপির মাধ্যমে চাকরি পেয়েছিলেন, তারা এখন সেই ভিত্তিতে নিজেকে “প্রাক্তন শিক্ষক” হিসেবে দাবি করতে পারেন না।

এতে আরও বলা হয়, এই ধরনের প্রার্থীদের নতুন করে পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার অধিকার নেই, কারণ তাঁদের প্রতি প্রশাসনিক বিশ্বাসহানির ঘটনা ঘটেছে। নিয়োগপ্রক্রিয়া যাতে স্বচ্ছ এবং সঠিক হয়, সেটিই সর্বাগ্রে দেখা হবে।

আদালতের তরফে জানানো হয়, এপ্রিল মাস পর্যন্ত বকেয়া বেতন পাওয়ার যে আবেদন ‘অযোগ্য’ প্রার্থীরা করেছিলেন, তা সম্পূর্ণভাবে খারিজ। আদালতের ভাষায়, “আপনি যখন আইনগতভাবে অযোগ্য বলে চিহ্নিত হয়েছেন, তখন আপনি সরকারের কাছ থেকে কোনওরকম আর্থিক সুবিধা দাবি করতে পারেন না।”

এই সিদ্ধান্তের ফলে আরও এক ধাক্কা খেলেন ওই প্রার্থীরা, যাঁরা কাজ হারিয়েও বকেয়া পাওয়ার আশায় আদালতের শরণাপন্ন হয়েছিলেন।

“আমার বাবা যোগ্য শিক্ষক” কোলের শিশুর হাতে প্ল্যাকার্ড, চাকরিচ্যুত শিক্ষক তাঁর ছোট ছেলেকে নিয়ে রাস্তায় নেমেছেন প্রতিবাদে

SSC case : ‘যোগ্য’ শিক্ষকরা ফিরবেন স্কুলে, বাদ পড়ছেন অশিক্ষক কর্মীরা — শর্তসাপেক্ষে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ

সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের পরে রাজ্যের শিক্ষক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। একাংশ মনে করছেন, এটি একটি ন্যায়সঙ্গত রায় যা ভবিষ্যতের নিয়োগ দুর্নীতি ঠেকাতে কার্যকর হবে। অন্যদিকে, কিছু অংশ মনে করছেন, যাঁরা শুধু প্রক্রিয়াগত সমস্যার কারণে চাকরি হারিয়েছেন, তাঁদের পুনর্বিবেচনার সুযোগ থাকা উচিত ছিল।

এই রায় এখন নজির হিসেবে ব্যবহৃত হবে অন্যান্য দুর্নীতির মামলায়। পাশাপাশি, এটাও নিশ্চিত হয়ে গেল যে রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া আরও একধাপ কঠিন এবং যাচাইযোগ্য হয়ে উঠবে। শিক্ষা দপ্তর সূত্রে খবর, নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে অতিরিক্ত পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা চালু করা হবে, যাতে ভবিষ্যতে ওএমআর বা অন্যান্য দস্তাবেজে কারচুপির সম্ভাবনা না থাকে।

আরও পড়ুন :

রাজ্যপাল পদ থেকে সরে যেতে পারেন বর্তমান রাজ্যপাল ড. সি ভি আনন্দ বোস, বেলা মাধুর্য ত্রিবেদী আসছেন রাজভবনে?

মাদাম তুসোতে প্রিন্সেস কেট মিডলটনের নতুন মূর্তি: ভবিষ্যৎ রানির সম্মানার্থে এক রাজকীয় শ্রদ্ধা

ad

আরও পড়ুন: