TribalWoman Dead SiuriHospital
ক্লাউড টিভি ডেস্ক : বীরভূমের সিউড়ী সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসায় গাফিলতিতে এক আদিবাসী মহিলার মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। মৃতের নাম ঝুমা কোঁড়া। পরিবার ও স্থানীয়দের দাবি, ভুল চিকিৎসা এবং অবহেলার কারণেই এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে।
পরিবারের অভিযোগ অনুযায়ী, ঝুমা কোঁড়া গত চার দিন আগে দুবরাজপুরের এক ইটভাঁটায় কাজ করার সময় দুর্ঘটনার শিকার হন। কাজের সময় তাঁর পায়ে ভারী ইট পড়ে যায়। চোট পাওয়ার পর তিনি সিউড়ীর বাড়িতে ফিরে যান এবং ধীরে ধীরে যন্ত্রণা আরও বেড়ে যায়। অবস্থার অবনতি হলে গতকাল দুপুরে তাঁকে সিউড়ী সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
কুড়িয়ে পাওয়া বালিশে রক্তে লেখা ‘১১০৬২৫’, ডেলিভারি বয়ের বুদ্ধিতে বেঁচে গেলেন এক মহিলা
তবে পরিবারের দাবি, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকে ঠিকমতো চিকিৎসা হয়নি। তাঁদের অভিযোগ, চিকিৎসক ও নার্সদের উদাসীনতায় রোগীর শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হতে থাকে। আজ সকালে তাঁকে একটি ইনজেকশন দেওয়ার পর হঠাৎ করেই তাঁর মৃত্যু হয়। এ নিয়েই পরিবারের সদস্যদের ক্ষোভ চরমে পৌঁছায়।
অভিযোগের ভিত্তিতে হাসপাতালের সুপার জানিয়েছেন, “ঘটনার তদন্ত করা হবে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলে প্রকৃত কারণ জানা যাবে।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই হাসপাতালের বাইরে শোকাহত পরিবার ও প্রতিবেশীরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তাঁদের অভিযোগ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রাথমিক চিকিৎসাতেই অবহেলা করেছে।
ঘটনাটি সামনে আসতেই সিউড়ী সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে আবারও প্রশ্ন উঠেছে। গ্রামীণ ও প্রান্তিক এলাকার সাধারণ মানুষ এখানে ভরসা করেই চিকিৎসার জন্য আসেন। অথচ চিকিৎসা অবহেলার কারণে এক আদিবাসী মহিলার প্রাণ হারানোয় ক্ষোভ ছড়িয়েছে এলাকায়।
তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত মৃত্যুর কারণ নিয়ে কিছু বলা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে ইতিমধ্যেই জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরও বিষয়টি খতিয়ে দেখছে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন :
ভবিষ্যতে টেলর ভাঙতে পারেন মেসির ৪০ মিনিটে এক কোটির রেকর্ড, কিভাবে !