WBDAIssue NabannaUpdate
ক্লাউড টিভি ডেস্ক : রাজ্যের সরকারি কর্মীদের জন্য এই সপ্তাহটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, বহু প্রতীক্ষিত ২৫ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) নিয়ে রাজ্য সরকারের অবস্থান স্পষ্ট হতে পারে এই ক’দিনের মধ্যেই। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, ২০০৯ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বকেয়া ডিএ-র অন্তত ২৫ শতাংশ রাজ্য সরকারকে মেটাতে হবে ২৭ জুনের মধ্যে (WBDAIssue NabannaUpdate)। সেই সময়সীমা শেষ হতে আর মাত্র পাঁচ দিন বাকি।
দীর্ঘদিন ধরে চলা আইনি লড়াইয়ের পর দেশের সর্বোচ্চ আদালত রায় দিয়েছিল, কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়া কর্মীদের অধিকার, দয়া নয়। সেই রায়ের পরপরই আশা জাগে সরকারি কর্মীদের মধ্যে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত নবান্নের তরফে কোনও চূড়ান্ত ঘোষণা আসেনি। ফলে দুশ্চিন্তা ও অপেক্ষা, দুই-ই পিছু ছাড়ছে না রাজ্যের লক্ষাধিক কর্মচারী ও অবসরপ্রাপ্ত পেনশনভোগীদের।
এই সপ্তাহেই ২৭ জুন পড়েছে, যেদিন রথযাত্রা উপলক্ষে সরকারি ছুটি। তার আগের দিন, শুক্রবার সরকারি কর্মদিবস হলেও এরপর টানা শনিবার ও রবিবার ছুটি। ফলে সরকারি মহলে জোর জল্পনা, নবান্ন যদি কোনও ঘোষণা করতেই চায়, তাহলে সপ্তাহের মধ্যেই তা করবে। এরকম না হলে পরবর্তী সপ্তাহে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের হতে পারে, বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মামলাকারী সংগঠনগুলি।
কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ-এর সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন,
“আমরা এখনও আশা রাখছি যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ পালন করবে। কিন্তু যদি শুক্রবারের মধ্যে কোনও সিদ্ধান্ত না আসে, তাহলে আমরা শনিবার রাজ্যের মুখ্যসচিবকে ই-মেল মারফত জানাবো, এবং সাত দিনের মধ্যে কোনও ব্যবস্থা না নিলে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করবো।”
ডিএ নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট বনাম পশ্চিমবঙ্গ সরকার: ১০,০০০ কোটির দায়ভার ও রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া
সরকারি কর্মচারী মহলে ক্ষোভ ধীরে ধীরে জমছে। দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্রীয় কর্মীদের তুলনায় কম ডিএ পাচ্ছেন রাজ্যের কর্মচারীরা। বর্তমানে রাজ্য ও কেন্দ্রের ডিএ-র মধ্যে বিভেদ ৪% এরও বেশি। তাছাড়া বকেয়া ডিএ-র পরিমাণ ১৮০ শতাংশের বেশি, যা সুপ্রিম কোর্টের রায়ে পরিস্কার উল্লেখ রয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মুহূর্তে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দুটি পথ খোলা —
১) আদালতের নির্দেশ মেনে অন্তত ২৫% বকেয়া ডিএ-র একটি কিস্তির ঘোষণা
২) সময় চেয়ে ফের সুপ্রিম কোর্টে আবেদন
তবে দ্বিতীয় বিকল্পটি নিলে সরকারি কর্মচারীদের ক্ষোভ আরও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। এর প্রভাব আগামী নির্বাচনের রাজনীতিতেও পড়তে পারে বলে বিশ্লেষকদের অভিমত।
সাম্প্রতিক বছরগুলিতে শিক্ষক ও সরকারি কর্মচারীদের নানা আন্দোলনের মুখে পড়েছে রাজ্য সরকার। এসএসসি দুর্নীতি মামলা থেকে শুরু করে বেতন কাঠামো ও ডিএ বিতর্ক—সব মিলিয়ে নবান্নের উপর চাপ এখন চরমে।
আরও পড়ুন :
ইরান-মার্কিন সংঘাতের মধ্যে ট্রাম্পের ‘শান্তির নোবেল’ নিয়ে বিতর্ক, পাকিস্তানকে কটাক্ষ ওয়াইসির
কালিগঞ্জ উপনির্বাচন ২০২৫: হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে এগিয়ে তৃণমূল, নজরে আলিফা আহমেদ