Breaking News

WBTeacherAnshan

শিক্ষকদের প্রতিবাদ আরও তীব্র আকার নিচ্ছে: আমরণ অনশনে চাকরি হারা শিক্ষকরা

চার দফা দাবিতে পশ্চিমবঙ্গের চাকরিচ্যুত শিক্ষকরা শুরু করলেন আমরণ অনশন। হাইকোর্ট নির্ধারিত টেন্টে টানা আন্দোলন—সরকারের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

WBTeacherAnshan : Protests Intensify in Kolkata %%page%% %%sep%% %%sitename%%

WBTeacherAnshan

কলকাতা | ১৩ জুন ২০২৫ : পশ্চিমবঙ্গের চাকরি হারানো শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রতিবাদ নতুন মোড় নিয়েছে। এবার তাঁরা আমরণ অনশনে বসেছেন। গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাত ১২টা থেকে হাইকোর্ট নির্দেশিত ময়দানের টেন্টে অন্তত ১০ জন প্রাক্তন শিক্ষক এই অনশন (WBTeacherAnshan) শুরু করেন।

চাকরিহীন শিক্ষকদের তরফে জানানো হয়েছে, তাঁদের চার দফা দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত এই অনশন চলবে। আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছে “যোগ্য শিক্ষক অধিকার মঞ্চ”, যারা ইতিমধ্যেই দীর্ঘদিন ধরেই পথে নেমে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন।

চার দফা মূল দাবি:

  1. মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ

  2. চাকরি বাতিল সংক্রান্ত বিচারপর্ব পুনর্বিবেচনার আবেদন

  3. যাঁরা প্রকৃতভাবে নির্দোষ, তাঁদের চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করা

  4. পুরো তদন্ত প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা বজায় রাখা


“যোগ্য শিক্ষক অধিকার মঞ্চ”-এর অন্যতম মুখপাত্র বলেন,

“প্রশাসন বারবার আমাদের সঙ্গে আলোচনার নাম করে শুধু মিথ্যে আশ্বাস দিয়েছে। বাস্তবে কোনও পদক্ষেপ নেই। এবার আর পিছু হটার প্রশ্ন নেই।”

চাকরিচ্যুত এক শিক্ষিকা বলেন,

“আমি কোনও ভুল করিনি। অথচ আমার চাকরি চলে গেছে। কী অপরাধ করেছি আমি? আমরা এখন খাবো কি, চলব কীভাবে?”

তাঁদের অভিযোগ, সরকার বাইরে থেকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বার্তা দিলেও ভিতরে ভেতরে আবারও পুরনো দুর্নীতির ছক তৈরি হচ্ছে। তাঁরা বলছেন, একদিকে সরকার নতুন চাকরির কথা বলছে, অন্যদিকে নির্দোষদের পিছু হটতে বাধ্য করছে।

“আমার বাবা যোগ্য শিক্ষক” কোলের শিশুর হাতে প্ল্যাকার্ড, চাকরিচ্যুত শিক্ষক তাঁর ছোট ছেলেকে নিয়ে রাস্তায় নেমেছেন প্রতিবাদে

রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ চাকরি হারানো শিক্ষকরা: “জীবনের চেয়ে মৃত্যু শ্রেয়”

সরকারি স্তরে এখনও পর্যন্ত কোনও নির্দিষ্ট প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। তবে প্রশাসনের একাংশের মতে, বিষয়টি বিচারাধীন থাকায় তাঁরা সরাসরি কিছু বলতে পারছেন না। যদিও আন্দোলনকারীদের অভিযোগ—এই নীরবতাই প্রশাসনের পক্ষপাতদুষ্ট অবস্থানের ইঙ্গিত।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আন্দোলন দীর্ঘ হলে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক চাপ বাড়বে রাজ্যের উপর। কারণ আন্দোলনকারীদের মধ্যে বহুজন এমনও আছেন, যাঁদের বিরুদ্ধে কোনও চার্জশিট বা মামলা নেই। অথচ তাঁদেরও চাকরি গিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আইন ও মানবাধিকারের দ্বন্দ্ব তীব্র হয়ে উঠছে।

আরও পড়ুন :

স্বপ্নভঙ্গ: লন্ডনে পরিবার নিয়ে নতুন জীবনের পথে পা রাখতেই মাঝ আকাশে নিভে গেল প্রতীক জোশীর পরিবার

“আমি বুঝতে পারিনি কীভাবে বেঁচে গেলাম!” — আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনায় অলৌকিকভাবে বেঁচে যাওয়া বিশ্বাস কুমার

ad

আরও পড়ুন: