WestBengal FloodAlert
ক্লাউড টিভি ডেস্ক : রাজ্যজুড়ে ফের সক্রিয় বর্ষা। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী এক সপ্তাহ ধরে উত্তরবঙ্গের প্রায় সব জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। শুধু উত্তরবঙ্গ নয়, দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলাতেও পরপর কয়েক দিন ধরে ভারী বর্ষণের (WestBengal FloodAlert) পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে। এই বর্ষণে জনজীবনে যেমন প্রভাব পড়তে চলেছে, তেমনি কৃষিকাজে ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আবহাওয়া দফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বুধবার (৬ অগস্ট) দক্ষিণবঙ্গের চারটি জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এই জেলাগুলি হল – উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব বর্ধমান ও নদিয়া। বৃহস্পতিবার (৭ অগস্ট) পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে। ওই দিন দক্ষিণবঙ্গের পাঁচটি জেলায় অর্থাৎ দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া ও মুর্শিদাবাদে ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় বজ্রপাত সহ বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে।
বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ, দক্ষিণ ও উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি ঝড়ের আশঙ্কা
তিন ঘূর্ণাবর্তের জেরে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস, দক্ষিণবঙ্গে জারি সতর্কতা
কলকাতায় ভারী বৃষ্টির সরাসরি পূর্বাভাস না থাকলেও, প্রতিদিনই বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে শহরের নিচু এলাকা ও গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা জলে ডুবে যেতে পারে। অফিস টাইমে জলজট, যানজট এবং সমস্যায় পড়তে পারেন সাধারণ মানুষ। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, শহরে আপাতত গরম কম থাকলেও আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বেড়ে যেতে পারে।
এই টানা বৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন কৃষকরা। ইতিমধ্যে উত্তরবঙ্গের কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং এবং মালদার কিছু অংশে চাষের জমি জলের তলায় চলে গেছে। দক্ষিণের বীরভূম, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুরেও একই ছবি। ধান, পাট, শাকসব্জি— প্রায় সব ধরনের ফসলই ক্ষতির মুখে। অনেক কৃষক জানিয়েছেন, বর্ষার এই অনিয়মিত আচরণ তাঁদের চাষের সমস্ত পরিকল্পনা ভেঙে দিচ্ছে।
গঙ্গা ও তার শাখানদীগুলির জলস্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষত, উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি নদীগুলি দ্রুত জলস্তর বাড়াচ্ছে, যার ফলে প্লাবনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। কিছু নিচু এলাকায় ইতিমধ্যেই জল ঢুকেছে বলে খবর। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন জেলার বিপর্যয় মোকাবিলা দলগুলোকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
এই বৃষ্টির ফলে রাজ্যজুড়ে তাপমাত্রা কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় দিনে তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রির নিচে রয়েছে, যা কিছুটা স্বস্তিদায়ক। তবে বৃষ্টি থামার সঙ্গে সঙ্গেই আর্দ্রতা বাড়বে, যা থেকে চরম অস্বস্তির সৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বঙ্গোপসাগরের উপর একটি নিম্নচাপ তৈরি হচ্ছে, যা রাজ্যের উপর দিয়ে ধীরে ধীরে অগ্রসর হবে। এর প্রভাবেই এই লাগাতার বৃষ্টি। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বৃষ্টির ধরণেও ব্যাপক পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে, যার কারণে কখনও অতিবৃষ্টি, কখনও খরার মতো চিত্র দেখা দিচ্ছে।
আরও পড়ুন :
বঙ্গ বিজেপির জেলা কমিটি নিয়ে অপেক্ষার অবসান, আগামী ৭-৮ দিনের মধ্যেই বড় ঘোষণা
পোষ্য কে আর রাখতে পারছেন না, হিংস্র প্রাণীদের খাবার হিসেবে দান করুন : বিতর্কের মুখে চিড়িয়াখানা