Breaking News

WestBengalBusStrike

২২ মে থেকে পশ্চিমবঙ্গে ৭২ ঘণ্টার বাস ধর্মঘট, বিপাকে নিত্যযাত্রী; কী বলছেন মালিকপক্ষ?

ধর্মঘটে অংশ নেবে প্রায় ৩৫ হাজার প্রাইভেট বাস

WestBengalBusStrike Causes Major Transportation Issues %%page%% %%sep%% %%sitename%%

WestBengalBusStrike

কলকাতা, ২০ মে ২০২৫ (ক্লাউড টিভি): : পশ্চিমবঙ্গের রাস্তায় আবারও দেখা দিতে চলেছে গণপরিবহণের সংকট। রাজ্যের প্রাইভেট বাস মালিকদের যৌথ সংগঠনের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে, আগামী ২২ মে থেকে ২৪ মে পর্যন্ত তিনদিন অর্থাৎ ৭২ ঘণ্টা ধরে চলবে রাজ্যজুড়ে বাস ধর্মঘট (WestBengalBusStrike )। ধর্মঘটের ফলে রাজ্যের একাধিক রুটে প্রাইভেট বাস চলাচল পুরোপুরি বন্ধ থাকার আশঙ্কা রয়েছে।

কেন এই ধর্মঘট?

প্রাইভেট বাস মালিকদের দাবি, জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ায় তারা বর্তমানে প্রচণ্ড আর্থিক চাপে রয়েছেন। সেই তুলনায় দীর্ঘদিন ধরে ভাড়া বাড়ানো হয়নি। ফলে তারা ক্ষতির মুখে পড়ছেন। এই পরিস্থিতিতে একাধিকবার রাজ্য সরকারের কাছে ভাড়া বৃদ্ধির আবেদন জানালেও এখনো পর্যন্ত কোনো ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া মেলেনি বলেই অভিযোগ।

বাস মালিকদের বক্তব্য, ‘‘বর্তমানে প্রতি লিটারে ডিজেলের দাম ৯০ টাকার ওপরে। এই অবস্থায় পুরনো ভাড়ায় বাস চালানো কার্যত অসম্ভব। চালকের বেতন, কর্মচারীদের বেতন, রক্ষণাবেক্ষণ— সব মিলিয়ে আমাদের ক্ষতির পরিমাণ দিনে দিনে বাড়ছে।’’

কোন সংগঠন ধর্মঘট ডাকছে?

পশ্চিমবঙ্গ বাস ও মিনিবাস মালিক সমন্বয় সমিতি-সহ একাধিক বাস মালিক সংগঠন যৌথভাবে এই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। সংগঠনের নেতাদের দাবি, তিনদিনের মধ্যে সরকার যদি আলোচনায় না বসে, তাহলে পরবর্তী দিনে আরও বড় আন্দোলনের পথে হাঁটবেন তারা।

কোন কোন রুটে প্রভাব পড়তে পারে?

কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ সহ একাধিক জেলায় প্রায় ৩৫ হাজার প্রাইভেট বাস রয়েছে। এই ধর্মঘটে বেশিরভাগ বাসই রাস্তায় নামবে না বলে সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। ফলে রাজ্যের শহরাঞ্চল থেকে শুরু করে গ্রামীণ এলাকায় যাতায়াত কার্যত অচল হয়ে পড়তে পারে।

বিচারকদের ঘাটতি,সঙ্কটে সুপ্রিম কোর্ট, পড়ে রয়েছে ৫ কোটি মামলা!

Breaking : সরানো হল ফিরহাদকে (Firhad Hakim), আপাতত হিডকোর (HIDCO)কাজ নিজেই দেখবেন মুখ্যমন্ত্রী

সাধারণ মানুষের উদ্বেগ

এই ধর্মঘটের জেরে নিত্যযাত্রী, অফিসযাত্রী, স্কুল-কলেজগামী ছাত্রছাত্রী, এমনকি পরীক্ষার্থী ও চিকিৎসা সংক্রান্ত জরুরি প্রয়োজনে যাতায়াতকারীদের সমস্যা হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বাস ধর্মঘট হলে বিকল্প হিসেবে রাজ্য পরিবহণ দফতরের অধীনে চলা সরকারি বাস ও মেট্রো, ট্রেনের উপর চাপ বাড়বে। তাতে করে সেগুলির পরিষেবাতেও ভিড় ও বিলম্বের আশঙ্কা থাকছে।

সরকারের প্রতিক্রিয়া কী?

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বাস মালিক সংগঠনের দাবি নিয়ে কোনও সরকারি প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে পরিবহণ দফতরের এক কর্তা জানান, “ধর্মঘটের ফলে যাতে সাধারণ মানুষ সমস্যায় না পড়েন, তার জন্য অতিরিক্ত সরকারি বাস নামানোর চিন্তা করা হচ্ছে। এছাড়াও জরুরি পরিষেবার ক্ষেত্রে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

বাস মালিকদের দাবি ও হুঁশিয়ারি

সমিতির সাধারণ সম্পাদক বলেন, “আমরা চাই না ধর্মঘট হোক। কিন্তু আমাদের সমস্যাগুলি তো সরকারকে বুঝতে হবে। যদি সরকার আলোচনায় বসে এবং সমস্যা সমাধানের রাস্তা দেখায়, তবে আমরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করতেও প্রস্তুত। কিন্তু সরকার যদি নির্বিকার থাকে, তাহলে ভবিষ্যতে আরও বড় ধর্মঘটের পথে যেতে বাধ্য হব।”

এই বাস ধর্মঘটের ফলে রাজ্যের জনজীবনে বড়সড় প্রভাব পড়তে পারে, বিশেষ করে যেসব মানুষ প্রতিদিন প্রাইভেট বাসে যাতায়াত করেন। ভাড়াবৃদ্ধি নিয়ে সরকার ও মালিকপক্ষের মধ্যে সঠিক সমঝোতা না হলে, ভবিষ্যতে আরও বড়সড় পরিবহণ সংকট দেখা দিতে পারে। এখন দেখার, সরকার এই তিন দিনের মধ্যে কোনও আলোচনায় বসে কিনা এবং এই ধর্মঘট রোধে কোনও পদক্ষেপ নেয় কি না।

আরও পড়ুন :

শশী থারুরের নেতৃত্বে সংসদীয় প্রতিনিধিদল সফর করবে পানামা, কলম্বিয়া, ব্রাজিল ও যুক্তরাষ্ট্র

কোভিড-১৯ আক্রান্ত জনপ্রিয় অভিনেত্রী শিল্পা শিরোদকার : উদ্বিগ্ন বলিউড

ad

আরও পড়ুন: