GazaCrisis
ক্লাউড টিভি ডেস্ক : গাজার (GazaCrisis)দক্ষিণে অবস্থিত খান ইউনিসের আল নাসের হাসপাতাল যেন এখন আর হাসপাতাল নয়—একটি যুদ্ধক্ষেত্র। তবে এখানে অস্ত্র নয়, হাতে ধরা থাকে স্টেথোস্কোপ, ব্যান্ডেজ আর সীমিত সামগ্রীতে ভরা ওষুধের বাক্স।
এই হাসপাতালে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছেন কানাডার অর্থোপেডিক সার্জন ডিরড্রে নুনান। তিনি আল-জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গাজার ভয়াবহ মানবিক সংকটের কথা তুলে ধরেন।
ডা. নুনান জানান,
“প্রতিদিন দুপুরের পর মাত্র একবার খাবার সরবরাহ করা হয়। সেটাও সাধারণত সেদ্ধ ডাল বা কয়েকটি শস্য দিয়ে বানানো সামান্য কিছু। পুষ্টি বা ক্যালোরির ঘাটতি ভয়ানক।”
এই পরিস্থিতিতে যারা টানা ২৪ ঘণ্টা শিফটে কাজ করছেন, তাদের অধিকাংশই দিনে একবারও ভালোভাবে খেতে পারছেন না। এমনকি অনেকে সকালে খালি পেটে কাজ শুরু করছেন—শুধু জল খেয়ে।
গাজায় সাড়ে ৬ লাখ শিশু দুর্ভিক্ষের মুখে, আন্তর্জাতিক মহলের ‘লজ্জাজনক নীরবতা’ নিয়ে ক্ষোভ
ইজরায়েলি আগ্রাসনে গাজার শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংসের মুখে: স্কুলছুট প্রায় ৮ লাখ শিক্ষার্থী
রুটির চার টুকরো ও মায়ের যুদ্ধ
ডা. নুনান একটি করুণ ঘটনার উল্লেখ করেন—
“এক সহকারী নার্স বলছিলেন, তিনি প্রতিদিন সকালে একটি রুটি চার টুকরো করে নিজের চার সন্তানের জন্য ভাগ করে দেন। কাজ শেষে বাড়ি ফিরে আবার সেই ভাগের পুনরাবৃত্তি।”
গাজায় হাজার হাজার পরিবার এখন এভাবেই একমুঠো খাবারের জন্য লড়াই করছে। এই লড়াই শুধু খাদ্যের জন্য নয়—মানবিক মর্যাদা বাঁচিয়ে রাখারও।
স্বাস্থ্যব্যবস্থার চরম সংকট
ওষুধ নেই
বিদ্যুৎ সীমিত
অক্সিজেন সাপ্লাই ভেঙে পড়েছে
জল, খাবার ও জ্বালানি সংকট সর্বত্র
গাজার অধিকাংশ হাসপাতাল এখন কার্যত ভেঙে পড়েছে। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রাণপণে রোগীদের বাঁচানোর চেষ্টা করছেন, কিন্তু উপকরণ ও সহায়তা না থাকলে সেটা প্রায় অসম্ভব।
আন্তর্জাতিক সমাজের ভূমিকা প্রশ্নের মুখে
গাজার এই ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বারবার উদ্বেগ প্রকাশ করলেও, বাস্তবে সহায়তার গতি ধীর।
ডা. নুনান বলেন,
“এই সংকট শুধুই ওষুধ বা খাদ্যের নয়—এটা ন্যায্যতা ও মানবিকতার সঙ্কট। আমাদের শুধু সাহায্য নয়, রাজনৈতিক সমাধান দরকার।”
আরও পড়ুন :
তরুণ প্রজন্মের ফিটনেস নিয়ে উদ্বিগ্ন ধোনি, জানালেন নিজের মেয়ের কথাও
পেলের বিশ্বকাপ পদক ও ‘হ্যান্ড অব গড’ ম্যাচে শিলটনের জার্সি উঠছে নিলামে