GazaWaterCrisis
ক্লাউড টিভি আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গাজা উপত্যকায় শুধু খাবারের জন্য নয়, খাবার জলের জন্যও আজ নিত্যদিনের লড়াই চলছে। ইসরায়েলের টানা ১৯ মাসের সামরিক অভিযানে গাজার প্রায় সমস্ত জল সরবরাহ অবকাঠামো (GazaWaterCrisis) ধ্বংস হয়ে গেছে। সুপেয় জলের কোনও উৎস কার্যত আর অবশিষ্ট নেই।
বাধ্য হয়ে বহু মানুষ এখন সমুদ্রের নোনতা ও দূষিত জল পান করছেন, যার ফলে দেখা দিচ্ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি ও মারাত্মক মানবিক সংকট।
গাজার সরকারি মিডিয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি বাহিনী গোটা গাজা জুড়ে ৭১৯টি জলের কূপ ধ্বংস করেছে। শুধু গাজা সিটি এলাকায় ৬৪টিরও বেশি জলকূপ ধ্বংস করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গাজা সিটি মিউনিসিপ্যালিটির মুখপাত্র আসেম আল-নাবীহ।
এছাড়া ১,১০,০০০ মিটারের বেশি জলের পাইপলাইন এবং ইনফ্রাস্ট্রাকচার সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।
৫ এপ্রিল থেকে ইসরায়েলের জল সরবরাহ সংস্থা মেকোরোট গাজায় জল সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। এই সংস্থা গাজার প্রায় ৭০ শতাংশ সুপেয় জলের জোগান দিত।
এর পাশাপাশি ১০ মার্চ থেকে গাজায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার কারণে জল পরিশোধনের ট্যাংক ও প্ল্যান্টগুলো অচল হয়ে পড়ে। হামাস সরকারের উপমন্ত্রী জুহদ আল-আজিজ জানিয়েছেন, জ্বালানি সংকট ও ধারাবাহিক হামলার ফলে প্রায় ৯০ শতাংশ সরকারি-বেসরকারি জল পরিশোধন কেন্দ্র (২৯৬টি) এখন সম্পূর্ণ বন্ধ।
বর্তমানে চালু থাকা মাত্র ৩০টি জলকূপ গাজার বিশাল জনসংখ্যার চাহিদার একাংশও পূরণ করতে পারছে না। গড়ে একজন বাসিন্দার হাতে প্রতিদিন মাত্র ৩ থেকে ৫ লিটার জল পৌঁছাচ্ছে—যা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী একেবারেই অপ্রতুল।
এই জল সংকটের কারণে বাজারে জলের দামও আকাশছোঁয়া, যা দরিদ্র পরিবারগুলোর নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে।
সমুদ্রের দূষিত জল পান করার ফলে জলবাহিত রোগ, ত্বকের সমস্যা, ডায়ারিয়া, এমনকি জীবনঘাতী সংক্রমণও বাড়ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় চিকিৎসকেরা।
জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো এই পরিস্থিতিকে এক ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
এদিকে গাজার সাধারণ মানুষ আশাবাদ হারিয়ে ফেললেও, আন্তর্জাতিক মহলের সক্রিয় হস্তক্ষেপের দাবি তুলেছে একাধিক সংগঠন।
আরও পড়ুন :
Sukanta Majumdar : দুই জায়গায় ভোটার কার্ড? বিতর্কে বিজেপি রাজ্য সভাপতির স্ত্রী কোয়েল চৌধুরী
ক্লাব বিশ্বকাপ ঘিরে ফিফার চমক: চালু হচ্ছে বিশেষ ট্রান্সফার উইন্ডো