IranCasualties
ক্লাউড টিভি ডেস্ক | ২৫ জুন, ২০২৫ : গত ১৩ জুন শুরু হওয়া ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধের ১২ দিনের সহিংসতায় ইরানে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬০০ (IranCasualties)। সংঘাতের সর্বশেষ দিনে, অর্থাৎ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার আগে, একদিনেই প্রাণ হারিয়েছেন ১০৭ জন ইরানি নাগরিক। ইরানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ রেজা জাফারকান্দি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বলে জানিয়েছে তেহরানভিত্তিক বার্তা সংস্থা মেহের নিউজ।
মন্ত্রী জানান,
*”১৩ জুন থেকে শুরু হওয়া সামরিক আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত মোট ৬০৬ জন শহীদ হয়েছেন এবং ৫,৩৩২ জন আহত হয়েছেন। কেবল শেষ ২৪ ঘণ্টায়ই নিহত হয়েছেন ১০৭ জন এবং আহত *১,৩৪২ জন।”
ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধে ভারতের ‘কিন্তুর’ উঠে এল কেন? খোমেনির শিকড় খুঁজে পাওয়া গেল উত্তরপ্রদেশে
ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বিপুল ক্ষয়ক্ষতি, ইজরায়েলে ক্ষতিপূরণের আবেদন ৩৯ হাজারেরও বেশি
সবচেয়ে উদ্বেগজনক তথ্য হলো,
প্রায় ৯৫ শতাংশ মৃত্যুই ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে,
মাত্র ৫ শতাংশ মানুষ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রাণ হারান।
টানা বোমাবর্ষণ এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ফলে ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতালকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে খালি করা হয়েছে।
সেখানে থাকা রোগীদের অন্যান্য স্থানে স্থানান্তর করতে হয়েছে, যা চিকিৎসা পরিষেবায় চরম সংকট সৃষ্টি করেছে।
মন্ত্রী বলেন,
“আমাদের বহু চিকিৎসাকেন্দ্র সরাসরি হামলার শিকার হয়েছে। আমরা প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টায় যুদ্ধকালীন অবস্থা মোকাবিলা করছি।”
ইরানি সূত্র জানায়, ইসরাইলের এই অভিযানে কেবল সামরিক বা পারমাণবিক স্থাপনাই নয়, বিভিন্ন আবাসিক ভবন, সরকারি হাসপাতাল ও স্কুলেও আঘাত হানা হয়েছে। এতে বহু সাধারণ নাগরিক, শিশু, নারী ও বয়স্ক মানুষ শহীদ (IranCasualties) হয়েছেন।
নিহতদের মধ্যে রয়েছেন—
ইরানের শীর্ষস্থানীয় ৭ জন সামরিক কর্মকর্তা,
৪ জন পারমাণবিক বিজ্ঞানী,
এবং অন্তত ২৯৫ জন সাধারণ নাগরিক।
যুদ্ধবিরতির পরেও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন এবং জাতিসংঘের মানবিক সংস্থা এই আক্রমণের মানবিক দিক নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বিশেষ করে বেসামরিক এলাকায় হামলা এবং হাসপাতালের কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটানোকে “মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন” বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন :
লর্ডসে একদিনে ৯৪৩ শিশুকে ক্রিকেট শেখানোর বিশ্ব রেকর্ড, ইতিহাস গড়ল চান্স টু শাইন”