Breaking News

IsraelIranTensions InternetShutdown

৬০ ঘণ্টা ধরে বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন ইরান, সাইবার যুদ্ধের আড়ালে গণযোগাযোগের ভাঙন

টানা ৬০ ঘণ্টা ইন্টারনেট বন্ধ! ইসরাইলি সাইবার হামলার ভয়ে ইরান সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে দেশের বাইরে থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করেছে ইন্টারনেট। এতে সাধারণ মানুষের যোগাযোগ, মতপ্রকাশ ও নিরাপত্তা হুমকির মুখে।

IsraelIranTensions InternetShutdown: A Digital Crisis %%page%% %%sep%% %%sitename%%

IsraelIranTensions InternetShutdown

ক্লাউড টিভি ডেস্ক: বিশ্ব থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ইরান। টানা ৬০ ঘণ্টা ধরে আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকার পর দেশটির ডিজিটাল পরিকাঠামো ও নাগরিক জীবনে দেখা দিয়েছে বিশৃঙ্খলা (IsraelIranTensions InternetShutdown)। ব্রিটেনভিত্তিক ইন্টারনেট পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা নেটব্লকস (NetBlocks) এই তথ্য জানিয়েছে।

সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইরান থেকে বাইরের ও বাইরের দিক থেকে ইরানের সঙ্গে তথ্য আদানপ্রদানের প্রায় সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়, যার ফলে দেশের জনগণ আন্তর্জাতিক ও জাতীয় স্তরে কোনো যোগাযোগ করতে পারেননি।

নেটব্লকস জানিয়েছে, ইন্টারনেট বন্ধের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জনগণের মতপ্রকাশের অধিকার, অবাধ যোগাযোগ এবং নিরাপত্তা সতর্কতা গ্রহণের ক্ষমতা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, সংবাদপত্র, সংবাদ চ্যানেল এবং এমনকি জরুরি সতর্কতাগুলিও পৌঁছাতে পারেনি সাধারণ নাগরিকদের কাছে।

“সাইবার অবরোধ একটি নীরব যুদ্ধ। কিন্তু এর প্রভাব সরাসরি জনজীবনে পড়ে,” বলছেন মিডল ইস্ট প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ রেইহান কামরান।

ইরান সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইসরাইলের পক্ষ থেকে সাইবার হামলার হুমকি পাওয়ার পরই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দেশটির সাইবার নিরাপত্তা দপ্তরের দাবি, এটি একটি ‘প্রতিরক্ষামূলক পদক্ষেপ’ যাতে গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামো, সামরিক তথ্য এবং কূটনৈতিক নথিপত্র রক্ষা করা যায়।

তবে সমালোচকরা বলছেন, ইরান বরাবরই বিক্ষোভ, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অভ্যন্তরীণ বিদ্রোহ দমনে ইন্টারনেট বন্ধকে একটি রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে এসেছে।

সাম্প্রতিক উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে, ২০২২ সালে হিজাব-বিরোধী আন্দোলনের সময় দেশজুড়ে নেটব্যবস্থা অকার্যকর করে দেওয়া হয়েছিল।

ইরানি হামলা ঠেকাতে ইসরাইলের দৈনিক ব্যয় ২০০ মিলিয়ন ডলার, স্থবির তেলআবিবের অর্থনীতি

“যুদ্ধবিরতি তখনই সম্ভব যখন আমরা আমাদের প্রতিশোধ শেষ করেছি” : ইরান

ইন্টারনেট বিচ্ছিন্নতার ফলে অনলাইন ব্যাংকিং, ব্যবসায়িক লেনদেন, আন্তর্জাতিক যোগাযোগ এবং বাণিজ্যিক কার্যক্রম কার্যত স্তব্ধ হয়ে পড়ে। আন্তর্জাতিক বাজারে ইরানি পণ্য রপ্তানিকারকদের সঙ্গে যোগাযোগে ব্যাপক ব্যাঘাত ঘটে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরনের দীর্ঘ ইন্টারনেট বিচ্ছিন্নতা ইরানের অর্থনীতির জন্য চরম ক্ষতিকর। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা আরও কমে যেতে পারে। একইসঙ্গে ভুগতে হচ্ছে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও জরুরি পরিষেবাও।

এমন পদক্ষেপের কড়া সমালোচনা করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলি। “ইরান ডিজিটাল মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন করছে,” জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই ইরানের সাইবার নীতির বিরুদ্ধে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ইরান ও পশ্চিমা দেশগুলির সাইবার দ্বন্দ্ব আরও বাড়তে পারে। শুধু প্রযুক্তিগত নয়, কূটনৈতিকভাবে এ ধরনের বিচ্ছিন্নতা বিশ্ব রাজনীতিতে নতুন উত্তেজনার জন্ম দিচ্ছে।

আরও পড়ুন :

“ইরান-ইসরায়েল সংঘাত: ‘যুক্তরাষ্ট্র জড়াবে কি না, সিদ্ধান্ত আগামী দুই সপ্তাহে’, জানালেন ট্রাম্প”

ইসরায়েল-ইরান সংঘর্ষে বিশ্ববাজারে তেলের দাম লাফিয়ে বাড়ছে

ad

আরও পড়ুন: