PopeLeoXIV JubileeOfYouth
ক্লাউড টিভি ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে ক্যাথলিক ধর্মাবলম্বী তরুণ-তরুণীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হলো “জুবিলি অফ ইয়ুথ” বা ‘যুবাদের জয়ন্তী বর্ষ’। এই ধর্মীয় অনুষ্ঠানের চূড়ান্ত দিন, রবিবার, রোমে এক মিলিয়নেরও বেশি যুবকের উপস্থিতিতে চূড়ান্ত প্রার্থনায় নেতৃত্ব দিলেন পোপ লিও চতুর্দশ।
রোমের পূর্ব উপকণ্ঠে এক বিশাল খোলা প্রান্তরে এই ঐতিহাসিক প্রার্থনার আয়োজন করে ভ্যাটিকান। সেখানে উপস্থিত তরুণদের উদ্দেশ্যে পোপ বলেন,
“তোমরা মহৎ কিছু অর্জনের স্বপ্ন দেখো। পবিত্রতার পথে এগিয়ে চলো। কম কিছুর জন্য কখনো নিজেকে সীমাবদ্ধ রেখো না।”
এই সপ্তাহব্যাপী যুব উৎসবে অংশ নিতে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে রোমে আসেন প্রায় ৫ লাখ তরুণ। অনুষ্ঠান শুরুর দিন থেকেই রোম শহর মুখর হয়ে ওঠে গানে, প্রার্থনায় ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে।
শনিবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয় এক বিশাল টুইলাইট ভিজিল—সূর্যাস্তের প্রাক্কালে এক প্রার্থনাসভা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রায় ৮ লাখ তরুণ, এবং রবিবার সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় এক মিলিয়নেরও বেশি।
ইস্টার সোমবারে পৃথিবীকে বিদায় পোপ ফ্রান্সিসের, প্রয়াণে শোকের ছায়া বিশ্বজুড়ে
বিশেষ প্রার্থনার আগের রাতেই হাজার হাজার তরুণ শুয়ে পড়েন খোলা আকাশের নিচে—কেউ তাঁবুতে, কেউ ঘুমের ব্যাগে কিংবা চটের বিছানায়। তীব্র গরম সত্ত্বেও এই ধর্মীয় অনুভূতি তাদের মনে কোনো ক্লান্তি আনেনি।
তরুণদের এই আত্মনিবেদন এবং অধ্যবসায় দেখে বিস্মিত পোপ নিজেও বলেন, “এই প্রজন্মই আগামী দিনে আলো ছড়াবে মানবতার জন্য।”
২০২৫ সালের জুবিলি বর্ষের প্রধান আকর্ষণ ছিল এই ‘জুবিলি অফ ইয়ুথ’। ভ্যাটিকানের মতে, এটি ছিল সাম্প্রতিক ইতিহাসে অন্যতম বৃহৎ তরুণ ধর্মীয় জমায়েত। বিশাল জনসমাগম সামাল দিতে কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে ছিল বিশাল নিরাপত্তা ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যবস্থাপনা। স্বেচ্ছাসেবক, মেডিকেল টিম ও নিরাপত্তা বাহিনী সর্বদা তৎপর ছিল।
পোপ লিও XIV নিজের বক্তব্যে বলেন—
“আজকের তরুণরাই আগামী দিনের শান্তি, ন্যায়বিচার ও সংহতির মূল কারিগর। জীবনে যা কিছু ভালো, সত্য ও সুন্দর তা অর্জনের জন্য সৎ ও সাহসী হও।”
আরও পড়ুন :
৮০ বছর আগে হিরোশিমা-নাগাসাকিতে আণবিক হামলার স্মরণে জাপানে অনুষ্ঠান, প্রথমবার রাশিয়া আসছে নাগাসাকিতে
ভয়ংকর দাবানলের হানা ফ্রান্সে, পুড়ছে প্যারিসের চেয়েও বিশাল এলাকা