Breaking News

BidenCancerUpdate

ক্যান্সার আক্রান্ত বাইডেন প্রথমবার জনসমক্ষে: বললেন, “ভালো আছি”, কিন্তু প্রশ্ন উঠছে চিকিৎসা নিয়ে

৮২ বছর বয়সে চতুর্থ পর্যায়ের প্রোস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত বাইডেন, হাড়েও ছড়িয়ে পড়েছে রোগ

BidenCancerUpdate: Biden Seen Publicly After Illness %%page%% %%sep%% %%sitename%%

BidenCancerUpdate

২৫ মে ২০২৫ (ক্লাউড টিভি ডেস্ক) : ক্যান্সার ধরা পড়ার পর প্রথমবারের মতো জনসমক্ষে দেখা গেল যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে। ৮২ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ (BidenCancerUpdate) গত শুক্রবার (২৩ মে) কানেকটিকাটের ব্র্যাডলি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। সেখানেই বলেন, “আমি ভালো আছি।”

বাইডেন সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন তার নাতির স্নাতকোত্তর ডিগ্রির অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। যদিও চোখে পড়ার মতো শারীরিক দুর্বলতা দেখা যায়নি, তবে দীর্ঘদিনের অনুপস্থিতি ও তার স্বাস্থ্যের বিষয়ে উদ্বেগ থেকেই যাচ্ছে।

১৮ মে বাইডেনের দপ্তর এক বিবৃতিতে জানায়, সাবেক প্রেসিডেন্ট হরমোন-সংবেদনশীল প্রোস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন, যা ইতিমধ্যেই তার হাড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। চিকিৎসকদের মতে, এটি চতুর্থ পর্যায়ের প্রোস্টেট ক্যান্সার, যা সাধারণত নিরাময়যোগ্য নয় তবে চিকিৎসা ও নিয়ন্ত্রণযোগ্য হতে পারে।

এক সময় ছিলেন খামারের কৃষক, এখন তিনি ভারতীয় ক্রিকেটে সুপারস্টার!

Fast Food : ফাস্ট ফুড খেলে কোন ৪ রোগ হয় জানেন?

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের ক্যান্সার ধরা পড়তে অনেক সময় লাগে না যদি নিয়মিত পরীক্ষা করানো হয়। তবে বাইডেনের মুখপাত্র স্বীকার করেছেন, ২০১৪ সালের পর আর কোনো PSA (Prostate-Specific Antigen) পরীক্ষা করানো হয়নি।

এক দশকেরও বেশি সময় ধরে কোনো প্রোস্টেট পরীক্ষা না করা—এমন একজন রাজনীতিবিদের জন্য বিষয়টি ‘উদ্বেগজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন চিকিৎসক মহল।
যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত অনকোলজিস্ট ড. এলেন রস বলেন,
“৮২ বছর বয়সী পুরুষদের ক্ষেত্রে নিয়মিত PSA টেস্ট বাধ্যতামূলক হওয়া উচিত। এত দেরিতে রোগ ধরা পড়া মানেই চিকিৎসার ক্ষেত্রে আমরা দেরি করে ফেলেছি।” বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, এটাই প্রমাণ করে যে রাজনীতিবিদদের স্বাস্থ্য নিয়ে স্বচ্ছতা ও নিয়মিত পরীক্ষা কতটা গুরুত্বপূর্ণ।

সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বাইডেন বলেন, “আমি এখনো সক্রিয়, পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছি, এবং আমি ভালো আছি। চিকিৎসার দিক থেকে আমার একটি দল সবসময় নজর রাখছে।”

এই সফরে তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী জিল বাইডেন। তাঁরা দু’জনই হাস্যোজ্জ্বল ছিলেন, যদিও চোখেমুখে ক্লান্তির ছাপ অস্বীকার করা যায় না। যদিও বাইডেন এখন আর প্রেসিডেন্ট পদে নেই, তবে ২০২৮ সালের নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট দলের কৌশল ও প্রচারে তিনি যে বড় ভূমিকা নিতে পারেন, তা অনেকেই মনে করছেন। তাঁর হঠাৎ অসুস্থতা দলের অভ্যন্তরে কিছুটা ধাক্কা দিয়েছে। তবে ডেমোক্র্যাট নেতৃত্বের একাংশ বলছে, বাইডেনের অভিজ্ঞতা এবং নৈতিক অবস্থান এখনো দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। অন্যদিকে বিরোধী রিপাবলিকান নেতারা স্বাস্থ্যের দোহাই দিয়ে তাঁর রাজনৈতিক প্রভাব খাটো করার চেষ্টা করছেন।

বাইডেন এখন নিয়মিত চিকিৎসার আওতায় রয়েছেন। তাঁর চিকিৎসা দলে রয়েছেন অনকোলজিস্ট, ইউরোলজিস্ট এবং নিউরোলজিস্টরা।চতুর্থ ধাপের প্রোস্টেট ক্যান্সার মানে হলো—ক্যান্সার কোষ হাড়ে ছড়িয়ে পড়েছে এবং চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদী হবে। সাধারণত হরমোন থেরাপি, কেমোথেরাপি এবং বিকিরণ চিকিৎসার মাধ্যমে রোগ নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা হয়।

একটি অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা গেছে, বাইডেন বর্তমানে একটি ট্রায়াল-ভিত্তিক ওষুধ ব্যবহারে রাজি হয়েছেন।

বিশ্লেষকদের মতে, বাইডেনের এই জনসমক্ষে আসা কেবল পারিবারিক দায়িত্বের অংশ নয়, বরং রাজনৈতিকভাবে এটি একটি কৌশল। সাধারণ মানুষকে দেখানোর জন্য যে তিনি এখনো সচল, সাহসী ও মাটির কাছাকাছি। এই মুহূর্তে যখন বিশ্বজুড়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা, যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে বিভাজন, তখন সাবেক প্রেসিডেন্টের উপস্থিতি এক ধরণের মনস্তাত্ত্বিক শক্তি জোগাতে পারে ডেমোক্র্যাট সমর্থকদের।

আরও পড়ুন :

আইপিএল মাঠের বাইরেও কোটির খেলা! ধারাভাষ্যকারদের আয় শুনলে চোখ কপালে উঠবে

বাংলাদেশ থেকে বিদেশি স্ত্রী কেনার ব্যাপারে নাগরিকদের সতর্ক করল ঢাকার চীনা দূতাবাস

ad

আরও পড়ুন: