Breaking News

MuhammadYunus Resignation

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস হতাশ, পদত্যাগের ইঙ্গিত

“যদি আমি কাজ করতে না পারি, তাহলে এই পদে থাকার কোনো মানে হয় না।”

MuhammadYunus Resignation: Political Implications %%page%% %%sep%% %%sitename%%

MuhammadYunus Resignation

ঢাকা , ২৩  মে (ক্লাউড টিভি):  বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সম্প্রতি এক সাক্ষাতে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিয়ে গভীর উদ্বেগ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “যদি আমি কাজ করতে না পারি, তাহলে এই পদে থাকার কোনো মানে হয় না।” তার এই মন্তব্য (MuhammadYunus Resignation) রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার ঝড় তোলে।

সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচনকে ঘিরে দেশজুড়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা তুঙ্গে। এরই মাঝে একটি নিরপেক্ষ ও কার্যকর অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের লক্ষ্যে অধ্যাপক ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দায়িত্ব গ্রহণের তিন মাস পর তিনি কার্যত একপ্রকার অচল অবস্থায় পড়েছেন বলে জানান।

তিনি সরাসরি অভিযোগ করেন, সরকার গঠনের পর থেকেই প্রশাসনিক স্তরে তার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে। “আমরা নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এখনও প্রশাসনে দলীয়করণ বিদ্যমান,” বলেন তিনি।

ইউনূস জানান, বেশ কিছু বড় রাজনৈতিক দল—বিশেষত ক্ষমতাসীনদের পক্ষ থেকে সহযোগিতা না পাওয়ায় সরকার কার্যকরভাবে কাজ করতে পারছে না। “একটি অন্তর্বর্তী সরকার তখনই কার্যকর হয়, যখন সব পক্ষ এর প্রতি আস্থা রাখে। কিন্তু আমরা যেসব দলকে নিয়ে সমঝোতার চেষ্টা করেছি, তারা বারবার পিছু হটেছে।”

অধ্যাপক ইউনূস বিশেষভাবে হতাশা প্রকাশ করেন রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক সংস্কারে অগ্রগতির অভাবে। নির্বাচন কমিশনের পূর্ণ স্বাধীনতা, নির্বাচনী এলাকায় নিরপেক্ষ প্রশাসনের উপস্থিতি, এবং পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত কার্যক্রম—এই বিষয়ে কোনও দৃশ্যমান অগ্রগতি না হওয়ায় তিনি পদত্যাগ বিবেচনা করছেন।

রাখাইনে ‘করিডর’ : বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের দাবি করলেন

ঢাকায় অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে চাপ বাড়াল বিএনপি

গত সপ্তাহে অধ্যাপক ইউনূস জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের সঙ্গে এক ঘরোয়া বৈঠক করেন। বৈঠকে তিনি সাফ জানান যে, বর্তমান অবস্থায় “প্রকৃত পরিবর্তন সম্ভব নয় যদি রাজনৈতিক দলগুলো আন্তরিক না হয়।” এনসিপির পক্ষ থেকেও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার পক্ষে অবস্থান জানানো হয়।

নাহিদ ইসলাম বলেন, “আমরা ইউনূস সাহেবের নেতৃত্বে আস্থা রেখেছি। তবে তাকে সহায়তা না করলে দায়ভার রাজনৈতিক দলগুলোকেই নিতে হবে।”

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. নাজমুল আহসান বলেন, “অধ্যাপক ইউনূসের পদত্যাগ জাতীয় রাজনীতিতে বড় ধাক্কা হবে। এটি দেশের নির্বাচন প্রক্রিয়াকে আরও অনিশ্চিত করে তুলবে।” তিনি আরও বলেন, এই সংকট সমাধানে শীর্ষ নেতাদের সরাসরি আলোচনায় বসা জরুরি।

অধ্যাপক ইউনূস এখনো পদত্যাগ করেননি, তবে তার বক্তব্যে যে হতাশা ও সংশয় প্রতিফলিত হয়েছে, তা ইঙ্গিত দেয় যে তিনি আর বেশিদিন এই পরিস্থিতি মেনে চলবেন না। এটি দেশের গণতন্ত্র, নির্বাচন প্রক্রিয়া এবং জনগণের আস্থার উপর সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে।

আরও পড়ুন :

গাজায় জল সংকট চরমে: সমুদ্রের নোনতা-দূষিত জলই ভরসা!

Sukanta Majumdar : দুই জায়গায় ভোটার কার্ড? বিতর্কে বিজেপি রাজ্য সভাপতির স্ত্রী কোয়েল চৌধুরী

ad

আরও পড়ুন: