NagasakiMemorial
ক্লাউড টিভি আন্তর্জাতিক ডেস্ক : এই সপ্তাহে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অন্যতম ভয়াবহ ঘটনা— হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে মার্কিন পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণের ৮০ বছর পূর্ণ হচ্ছে। ১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট প্রথম বোমাটি ফেলা হয়েছিল হিরোশিমায়। মাত্র কয়েক সেকেন্ডে মৃত্যু হয়েছিল প্রায় ১ লক্ষ ৪০ হাজার মানুষের। তিন দিন পরে, ৯ আগস্ট নাগাসাকিতে (NagasakiMemorial) ফেলা হয় দ্বিতীয় বোমা, প্রাণ হারান আরও অন্তত ৭৪ হাজার মানুষ।
এই দুটি বোমা হামলাই ছিল জাপানের সাম্রাজ্যবাদী অধ্যায়ের শেষ পরিণতি। জাপান ১৫ আগস্ট, ১৯৪৫-এ আত্মসমর্পণ করে। এর ফলে আনুষ্ঠানিকভাবে সমাপ্তি ঘটে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের।
হিরোশিমা ও নাগাসাকির যারা ওই হামলায় প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন, তাঁরা পরিচিত “হিবাকুশা” (hibakusha) নামে। এই হিবাকুশারা বহু দশক ধরে অসহনীয় শারীরিক ও মানসিক যন্ত্রণার শিকার হয়েছেন। অনেকে পারমাণবিক বিকিরণের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাবে থাইরয়েড ক্যানসার ও লিউকেমিয়ার মতো রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। সমাজেও তাঁদের অনেক সময় বয়ে বেড়াতে হয়েছে অবজ্ঞা ও ভয়ের বোঝা।
ভয়ংকর বোমা ‘গাজাপ’ তৈরি করল তুরস্ক, বিস্ফোরণে কাঁপবে শত্রুর ঘাঁটি
‘সবচেয়ে খারাপ মা’কে ২০ লাখ ডলার ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া সরকার!
এই বছর নাগাসাকিতে আয়োজিত স্মরণ অনুষ্ঠানে প্রায় ১০০টি দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নিতে চলেছেন। এই প্রথম, ইউক্রেন যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার পর, রাশিয়াকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে নাগাসাকির স্মরণসভায়। এটি একটি কূটনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
ইতিহাসবিদরা এখনও বিতর্ক করে চলেছেন, এই দুই পারমাণবিক হামলা আসলেই যুদ্ধ শেষ করতে সাহায্য করেছিল কিনা। কেউ কেউ মনে করেন, এই বোমা হামলা না হলে স্থল আক্রমণে আরও বেশি প্রাণহানি হতে পারত। আবার অনেকে এটিকে নিছক ‘অমানবিক’ পদক্ষেপ বলেই দেখেন।
আরও পড়ুন :
উত্তরাখণ্ডে ভয়াবহ বিপর্যয় দেখে কেঁদে ফেললেন সারা, উর্বশীরও প্রতিক্রিয়া
ভয়ংকর দাবানলের হানা ফ্রান্সে, পুড়ছে প্যারিসের চেয়েও বিশাল এলাকা