Save Gaza Children
৭ মে ২০২৫ (ক্লাউড টিভি): ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলি আগ্রাসন শুরুর পর থেকে ১৬ হাজারের বেশি শিশু নিহত (Save Gaza Children) হয়েছে। উপত্যকাটিতে শিশু মৃত্যুর হার প্রতি ৪০ মিনিটে একটি। সোমবার (৫ মে) গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সংযুক্ত ফিল্ড হাসপাতালের পরিচালক মারওয়ান আল-হামস দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, মৃতের (Save Gaza Children) সংখ্যা ১৬ হাজার ২৭৮ জন। যার মধ্যে ৯০৮ জন শিশু এবং ৩১১ জন নবজাতক জন্মের পরে মারা গেছে।
তিনি বলেন, চলতি বছরের মার্চের শুরুতে ইসরাইল ক্রসিং বন্ধ করে দেওয়ার পর থেকে মানবিক পরিস্থিতি উল্লেখযোগ্যভাবে খারাপ হয়ে গেছে, যার ফলে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হচ্ছে। এতে হাজার হাজার শিশু (Save Gaza Children) এবং গর্ভবতী মহিলা চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, যা সংকটকে আরও বাড়িয়ে তুলছে।
Unknown Gunmen: পাকিস্তানে একাধিক সন্ত্রাসবাদী মৃত্যুতে দায়ী কারা?
তিনি আরও বলেছেন, বিভিন্ন অবকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু করে ইসরাইলি হামলা ও ত্রাণ প্রবেশে বাধা দেওয়ার কারণে অনেক শিশু দিনে মাত্র একবার তাও অসম্পূর্ণ খাবার খেয়ে বেঁচে আছে। এছাড়া বিশুদ্ধ জল ও সঠিক পুষ্টির অভাব তো রয়েছেই। তিনি আরও বলেছেন, হাজার হাজার শিশু মৌলিক চাহিদা ছাড়াই বাস্তুচ্যুত কেন্দ্রগুলোতে বাস করছে। অন্যদিকে গর্ভবতী নারীদেরও হাসপাতালে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের সঙ্গে হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম পর্যায়ের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর গত ২ মার্চ থেকে গাজায় পণ্য ও সরবরাহ প্রবেশ বন্ধ করে দেয় ইসরাইল। এক সংবাদ সম্মেলনে গাজার সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল জানিয়েছেন, সোমবার ইসরাইলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ৫৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। হামলাটি গাজার বাড়িঘর, যানবাহন এবং সমাবেশকে লক্ষ্য করে চালানো হয়েছিল।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরাইলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। এদিন তারা ১২০০ মানুষকে হত্যা করে প্রায় ২৫১ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায়। হামাসের হামলার প্রতিশোধে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। এতে নিহত হয়েছেন ৫২ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছেন এক লাখ ১৮ হাজারেরও বেশি।
১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে টানা অভিযান চালানোর পর যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যস্থতাকারী অন্যান্য দেশগুলোর চাপে গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। তবে বিরতির দু’মাস শেষ হওয়ার আগেই গত ১৮ মার্চ থেকে ফের গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে দখলদার ইসরাইল। দ্বিতীয় দফার এ আগ্রাসনে প্রায় ২৫০০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়। এছাড়া আহত হয়েছেন পাঁচ হাজারেরও বেশি।
#GazaUnderAttack#SaveGazaChildren#HumanitarianCrisis#IsraelPalestineConflict#CeasefireNow
#StopKillingChildren#WarCrimes#StandWithPalestine
আরও পড়ুন :
IPL 2025 : আইপিএলের সর্বকালের সেরা একাদশে নেই রোহিত
আগামী সপ্তাহে ব্রাজিল কোচ নির্বাচন, দৌড়ে এগিয়ে কে