SouthKorea PopulationCrisis
ক্লাউড টিভি ডেস্ক: দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনীর আকার বিগত ছয় বছরে প্রায় ২০% কমে গেছে। এর প্রধান কারণ হিসেবে দেশটির জনসংখ্যা সংকটকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষত তরুণ পুরুষের সংখ্যা দ্রুত হ্রাস (SouthKorea PopulationCrisis) পাওয়ায় সেনাবাহিনীর নিয়োগ প্রক্রিয়া কঠিন হয়ে উঠছে। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৮ সালের তুলনায় বর্তমানে সক্রিয় সামরিক বাহিনীর সদস্য সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার জন্মহার বিশ্বের মধ্যে অন্যতম সর্বনিম্ন। ২০২4 সালে দেশটির প্রতি নারীর গড় সন্তান সংখ্যা ছিল মাত্র 0.72, যা দীর্ঘমেয়াদে কর্মক্ষম জনসংখ্যার ওপর বড় ধাক্কা দিচ্ছে। তরুণ পুরুষের সংখ্যা কমে যাওয়ায় বাধ্যতামূলক সামরিক সেবায় পর্যাপ্ত জনবল জোগাড় করা কঠিন হয়ে পড়ছে। সেনাবাহিনীর সদস্য সংখ্যা ২০১৮ সালে যেখানে ছিল প্রায় ৫,৯৯,০০০, তা এখন নেমে এসেছে প্রায় ৪,৮০,০০০-এ।
দক্ষিণ কোরিয়ায় ১৮ থেকে ২৮ বছর বয়সী সব সক্ষম পুরুষের জন্য প্রায় দেড় বছর থেকে দুই বছরের মধ্যে সামরিক সেবা বাধ্যতামূলক। তবে জনসংখ্যা হ্রাসের কারণে সেনাবাহিনীকে তাদের কাঠামো পুনর্বিবেচনা করতে হচ্ছে। বর্তমানে সরকার আধুনিক প্রযুক্তি, স্বয়ংক্রিয় যুদ্ধ ব্যবস্থা ও ড্রোনসহ উন্নত সামরিক সরঞ্জাম বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দিচ্ছে, যাতে জনবল কম থাকলেও প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বজায় রাখা যায়।
এ পরিস্থিতি দক্ষিণ কোরিয়ার জন্য আরও জটিল হয়ে উঠছে কারণ তাদের উত্তর প্রতিবেশী উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে সামরিক উত্তেজনা বিরাজ করছে। উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনীতে বর্তমানে প্রায় ১২ লাখ সদস্য রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। ফলে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা নীতি ও কৌশলে পরিবর্তনের চাপ বাড়ছে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২৫ সালের মধ্যে সেনাবাহিনীর আকার আরও ছোট করে প্রায় ৪,৫০,০০০-এ নামিয়ে আনার পরিকল্পনা রয়েছে, তবে এর সঙ্গে প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগও থাকবে। এছাড়া রিজার্ভ বাহিনীকে আরও প্রশিক্ষিত ও সক্রিয় রাখার পরিকল্পনাও নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন :
অক্সিজেন ট্যাঙ্ক বিস্ফোরণের পরও অ্যাপোলো ১৩ কে নিরাপদে ফিরিয়ে আনা কিংবদন্তি নভোচারী জিম লোভেল আর নেই
লিবারেশন ডে ইন ডিসি : ওয়াশিংটনে সেনা ও ফেডারেল বাহিনী মোতায়েনের কথা ঘোষণা করলেন ট্রাম্প