WhereIsKhamenei
ক্লাউড টিভি ডেস্ক: ইজরায়েলের সঙ্গে টানা ১২ দিনের যুদ্ধ শেষ হয়েছে যুদ্ধবিরতির মধ্য দিয়ে, যা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় সম্ভব হয়। তবে যুদ্ধ থেমে গেলেও থামেনি উদ্বেগ—বিশেষত ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে ঘিরে।গত এক সপ্তাহ ধরে খামেনি জনসমক্ষে আসেননি (WhereIsKhamenei) , দেননি কোনো বক্তব্য বা বার্তা। আর এ নিয়েই দানা বাঁধছে রহস্য, উদ্বেগ এবং রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক জল্পনা।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের এক উপস্থাপক গত মঙ্গলবার সরাসরি খামেনির অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, “মানুষ খুবই চিন্তিত, তারা জানতে চাইছে—সর্বোচ্চ নেতা কোথায়?” (WhereIsKhamenei)
উপস্থাপকের এই প্রশ্নটি খামেনির দপ্তরের আর্কাইভ শাখার এক কর্মকর্তা মেহদি ফাজায়েলির কাছে করা হয়।
তবে ফাজায়েলি কোনো সরাসরি উত্তর না দিয়ে বলেন, “আমরাও নানা জায়গা থেকে এই উদ্বেগের খবর পাচ্ছি। ইজরায়েল-যুক্তরাষ্ট্রের ভয়াবহ বোমা হামলার পর অনেকেই তার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন।”
ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বিপুল ক্ষয়ক্ষতি, ইজরায়েলে ক্ষতিপূরণের আবেদন ৩৯ হাজারেরও বেশি
হত্যার আশঙ্কায় উত্তরসূরি বাছাই শুরু করলেন খামেনি, মোজতবা নেই সম্ভাব্য তালিকায়
ফাজায়েলি বলেন, “সর্বোচ্চ নেতাকে রক্ষা করার দায়িত্ব যাদের ওপর, তারা ভালোভাবেই কাজ করছেন। ইনশাআল্লাহ্, জনগণ তাদের নেতাকে সঙ্গে নিয়েই বিজয় উদ্যাপন করতে পারবে।”
তিনি আরও বলেন, “সবাইকে তার জন্য দোয়া করতে হবে।”
যুদ্ধপরবর্তী গুরুত্বপূর্ণ সময়ে সর্বোচ্চ নেতার এমন নীরবতা দেশজুড়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে। খামেনি কি অসুস্থ? আহত? বা তার বিরুদ্ধে গোপন কোনো অভ্যুত্থান ঘটেছে? তিনি আদৌ জীবিত আছেন কি না—এমন প্রশ্নও ঘুরছে সামাজিক মাধ্যমে।
নিউইয়র্ক টাইমসের প্রভাবশালী সাংবাদিক ফারনাজ ফসিহির এক রিপোর্টে বলা হয়, ইরানজুড়ে এই মুহূর্তে যে উত্তেজনা ও সংকট বিরাজ করছে, সেখানে খামেনির অনুপস্থিতি অস্বাভাবিক এবং তা মানুষের মধ্যে গভীর অনিশ্চয়তার জন্ম দিচ্ছে।
আরও পড়ুন :
হাসিনার সেই ‘৪০০ কোটি টাকার পিয়ন’-এর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও সঞ্চয়পত্র ফ্রিজ করল আদালত
ইজরায়েলি আগ্রাসনে ইরানে ১২ দিনে নিহত ৬০০-র বেশি, জানাল তেহরান