Trump Scotland Maternal Home
ক্লাউড টিভি ডেস্ক : ইউনাইটেড কিংডম এর সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্পর্ক শুধু কূটনৈতিক বা ব্যবসায়িক পর্যায়ে সীমাবদ্ধ নয়। তার শিকড়ও রয়েছে স্কটল্যান্ডে। স্কটল্যান্ডের লুইস দ্বীপ ট্রাম্পের মামারবাড়ি। তার মা ম্যারি অ্যান ম্যাকলিওড ছিলেন স্কটিশ নাগরিক। ১৯৩০ সালে মাত্র ১৮ বছর বয়সে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। কিন্তু জীবনভর লুইস দ্বীপের সঙ্গে তার যোগ অটুট ছিল। তিনি নিয়মিত সেখানে ফিরতেন এবং দ্বীপের স্থানীয় উচ্চারণ—গ্যালিক ভাষা—জীবনভর ধরে রেখেছিলেন।
ট্রাম্পও বহুবার যুক্তরাজ্য সম্পর্কে উষ্ণ মন্তব্য করেছেন। তিনি একে বর্ণনা করেছেন “আমার এবং আমাদের দেশের জন্য খুব বিশেষ”। তবে ব্যবসায়িক কারণে তিনি যেমন স্কটল্যান্ডে দৃঢ় অবস্থান গড়ে তুলেছেন, ঠিক তেমনি তার প্রকল্পগুলোকে ঘিরে তৈরি হয়েছে সমালোচনাও।
ইউক্রেনে প্রতিটি অস্ত্র চুক্তিতে ১০% কমিশন নেওয়ার অভিযোগে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে
ট্রাম্পের গলফ কোর্স ও বিতর্ক
বর্তমানে ট্রাম্পের মালিকানায় রয়েছে স্কটল্যান্ডের দুটি নামী গলফ কোর্স— ট্রাম্প টার্নবেরি এবং ট্রাম্প ইন্টারন্যাশনাল গলফ। দুটোই অবস্থিত অ্যাবারডিনশায়ারে। যদিও এই প্রকল্পগুলিকে ঘিরে পরিবেশবিদ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ প্রবল।
স্কটিশ ন্যাচারাল হেরিটেজের অভিযোগ, অ্যাবারডিনশায়ারের কোর্স তৈরির জন্য বিশেষভাবে সংরক্ষিত এলাকার একটি বড় অংশ ধ্বংস হয়েছে। এতে স্থানীয় জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক পরিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে তাদের দাবি।
স্কটিশদের নেতিবাচক মনোভাব
ট্রাম্প সবসময় স্কটল্যান্ডকে তার শিকড় ও ঐতিহ্যের সঙ্গে যুক্ত করে দেখিয়েছেন। কিন্তু বাস্তবে স্কটিশ জনসাধারণের বড় অংশ তাকে সমর্থন করেন না। সাম্প্রতিক এক সার্ভে অনুযায়ী, ১০ জনের মধ্যে প্রায় সাতজন স্কটিশ নাগরিক ট্রাম্পের প্রতি নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন।
এর ফলে দেখা যাচ্ছে, পারিবারিক শিকড় ও ব্যবসায়িক প্রভাব থাকা সত্ত্বেও ট্রাম্প স্কটল্যান্ডে সেইভাবে জনপ্রিয়তা পাননি। বরং তার উপস্থিতিকে ঘিরে স্থানীয় মানুষজনের মধ্যে বিরূপ মনোভাব তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন :
এশিয়া কাপ ২০২৫: সুপার ফোরে ভারত-পাকিস্তান, জেনে নিন কবে ?
সুপার কাপের আগে ইস্টবেঙ্গলে যোগ দিলেন জাপানি ফরোয়ার্ড হিরোশি ইবুসুকি