যুক্তরাষ্ট্র সরকারি শাটডাউন ২০২৫
ওয়াশিংটন, ১ অক্টোবর: যুক্তরাষ্ট্রে ফের শুরু হয়েছে সরকারি শাটডাউন। কংগ্রেস স্বল্পমেয়াদি অর্থায়ন বিল পাস করতে ব্যর্থ হওয়ায় এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ফলে একেবারে জরুরি পরিষেবা বাদ দিয়ে ফেডারেল সরকারের অধিকাংশ দপ্তরের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
এটি ১৯৮১ সালের পর যুক্তরাষ্ট্রের ১৫তম সরকারি শাটডাউন। এবার শাটডাউনের আকার ও প্রভাব অনেক বেশি হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশ্লেষকদের মতে, বাজেট নিয়ে হোয়াইট হাউস ও কংগ্রেসের দুই দলের দ্বন্দ্ব আপাতত মেটার সম্ভাবনা নেই।এই শাটডাউনের সবচেয়ে বড় আঘাত আসবে সরকারি কর্মীদের উপর। প্রায় ৭.৫ লক্ষ ফেডারেল কর্মী ছাঁটাই বা বেতনহীন ছুটিতে যেতে পারেন। এর মধ্যে আছেন বিজ্ঞানী, প্রশাসনিক কর্মী, নিরাপত্তা কর্মী থেকে শুরু করে বিমান নিয়ন্ত্রক পর্যন্ত।
ট্রাম্পের জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে ইলন মাস্কের ‘আমেরিকা পার্টি’! সতর্ক করছেন বিশ্লেষকরা
জাতীয় ক্রীড়া শাসন বিল ও ডোপিং-বিরোধী সংশোধনী বিল লোকসভায় পাস
অন্যদিকে, যেসব কর্মীকে অত্যাবশ্যক পরিষেবার জন্য কাজে রাখা হবে, যেমন সেনা, পুলিশ বা জরুরি স্বাস্থ্যকর্মী—তাদের নিয়মিত বেতন আপাতত বন্ধ থাকবে। ফলে দেশের ভেতরে প্রশাসনিক চাপ আরও বাড়তে পারে।শাটডাউনের ফলে সরকারি তথ্য প্রকাশও স্থগিত হচ্ছে। অক্টোবরের শুরুতে মার্কিন চাকরির তথ্য প্রকাশের কথা থাকলেও এখন তা আসবে না। এতে অর্থনৈতিক বাজারে অনিশ্চয়তা আরও বাড়বে।
অন্যদিকে, বিমান পরিষেবায় বিঘ্ন ঘটতে পারে। ফেডারেল এভিয়েশন কর্মীদের ছাঁটাই বা দেরি হওয়ার কারণে বিমানের সময়সূচি ও যাত্রী সেবায় প্রভাব পড়বে। বৈজ্ঞানিক গবেষণার বহু প্রকল্প আপাতত থমকে যাবে, বিশেষ করে সরকারি অর্থায়নে চলা গবেষণাগুলি।শাটডাউন নিয়ে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে দোষারোপ চলছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তাঁর দল বলছেন, “ডেমোক্র্যাটরা ইচ্ছাকৃতভাবে বাজেট আটকে দিয়ে দেশের মানুষকে জিম্মি করেছে।”
অন্যদিকে, ডেমোক্র্যাটরা অভিযোগ করেছেন যে ট্রাম্প প্রশাসন অযৌক্তিক কাটছাঁট ও নীতি চাপিয়ে দিতে চাইছে। তাঁদের মতে, “জনগণের স্বার্থে থাকা গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলোকে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।” শাটডাউনের প্রভাব দ্রুতই পড়েছে বাজারে। ওয়াল স্ট্রিট ফিউচারসে দরপতন দেখা দিয়েছে। সোনার দাম রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে। এশিয়ার শেয়ার বাজারেও অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। অর্থনীতিবিদদের মতে, শাটডাউন দীর্ঘস্থায়ী হলে বিশ্ব অর্থনীতিতে চাপ বাড়বে।
অতীতে যুক্তরাষ্ট্রে শাটডাউন কয়েক দিন থেকে শুরু করে কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত চলেছে। এবার তা কতদিন চলবে, তা নির্ভর করছে কংগ্রেসে আপোষ আলোচনার উপর। বিশ্লেষকদের ধারণা, দলীয় দ্বন্দ্ব মেটানো না গেলে শাটডাউন কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত চলতে পারে, যা দেশের অর্থনীতির জন্য বড় ধাক্কা হবে।
আরও পড়ুন :
গুয়াহাটিতে মহিলা ক্রিকেট বিশ্বকাপ উদ্বোধনে শ্রেয়া ঘোষালের কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত
জগদ্দলে প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিং-এর বাড়ির সামনে বোমা ও গুলি চালালো দুষ্কৃতীরা