Breaking News

Zohran Mamdani eligibility US President

Zohran Mamdani মার্কিন সংবিধান অনুযায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে লড়তে পারবেন না

নিউ ইয়র্কের নবনির্বাচিত মেয়র জহরান মামদানি জনপ্রিয় রাজনৈতিক মুখ হলেও তিনি কখনওই মার্কিন প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না, কারণ তাঁর জন্ম যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে।

Zohran Mamdani eligibility US President সংবিধান যা বলছে

Zohran Mamdani eligibility US President

ক্লাউড টিভি ডেস্ক : নিউ ইয়র্ক সিটির নতুন মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন জহরান মামদানি (Zohran Mamdani)। তিনি আফ্রিকায় জন্ম, ভারতে বেড়ে ওঠা এবং পরে আমেরিকায় স্থায়ী হওয়া একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। প্রগতিশীল ভাবধারার জন্য তিনি মার্কিন তরুণদের মধ্যে বিশেষ পরিচিত। নতুন প্রজন্ম তাঁকে একজন পরিবর্তনের মুখ হিসেবে দেখছে। তবে তাঁর সম্পর্কে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এখন আলোচনার কেন্দ্রে — তিনি কখনওই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না। কারণ তাঁর জন্ম যুক্তরাষ্ট্রে হয়নি। এটি যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানে সরাসরি উল্লেখ করা রয়েছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য তিনটি মৌলিক যোগ্যতা থাকতে হয়:

  1. Natural-Born Citizen — অর্থাৎ, জন্ম মার্কিন ভূখণ্ডে হতে হবে

  2. ন্যূনতম বয়স ৩৫ বছর

  3. কমপক্ষে ১৪ বছর যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে থাকা

এই তিনটি শর্তের মধ্যে জহরানের সবচেয়ে বড় সমস্যা প্রথমটি। তিনি উগান্ডায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর মা-বাবা তখন সেখানে ছিলেন। তাঁর শিশুকাল কেটেছে ভারত এবং পরে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষালাভ ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু করেন। কিন্তু জন্মের ভিত্তিতে তিনি একজন natural-born American citizen নন। এবং এই আইন বদলানো প্রায় অসম্ভব

সংবিধানের এই ধারা ১৭৮৭ সাল থেকে বহাল আছে। তখন প্রতিষ্ঠাতা নেতারা মনে করেছিলেন, দেশের সর্বোচ্চ ক্ষমতার অবস্থানে বিদেশি প্রভাব থাকা উচিত নয়। তাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় — প্রেসিডেন্ট শুধু জন্মসূত্রে আমেরিকান হতে পারবেন।

এজন্যই:

  • আর্নল্ড শোয়ার্জেনেগার (জন্ম অস্ট্রিয়া)

  • টেড ক্রুজ (জন্ম কানাডায়)
    এমনকি তাঁরা আমেরিকার মাটিতে দীর্ঘ সময় রাজনীতি করলেও প্রেসিডেন্ট হওয়া সম্ভব হয়নি

নিউ ইয়র্কের মেয়র নির্বাচন: নেহরুর কোটেশন, বলিউড গান ভারতীয় সংযোগ নিয়ে আলোচনায় জোহরান মমদানী

নিউইয়র্কে ইতিহাস গড়লেন জোহারান মামদানি, ভারতীয় বংশোদ্ভূত মুসলিম প্রথম মেয়র

জহরান মামদানিও একই সংবিধানিক বাধার মধ্যে পড়লেন। জহরান মামদানি নিউ ইয়র্কে একজন প্রগতিশীল রাজনৈতিক মুখ। তিনি অভিবাসী পরিবার, শ্রমজীবী মানুষ এবং সংখ্যালঘু নাগরিকদের অধিকারের প্রশ্নে সরব।
২০২৫ সালের নির্বাচনে তিনি বড় ব্যবধানে জয়ী হন।
তাঁর রাজনীতি:

  • নাগরিক অধিকার রক্ষা

  • বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে অবস্থান

  • ভাড়া বৃদ্ধির বিরুদ্ধে আন্দোলন

  • পুলিশি ব্যবস্থার সংস্কার দাবি

এই কারণে তিনি নিউ ইয়র্কের বহু যুবকের কাছে আকর্ষণের কেন্দ্র

তাঁর এই উত্থান দেখে অনেকেই বলছিলেন — “ভবিষ্যতে তিনি হয়তো জাতীয় স্তরে আরও বড় নেতৃত্বে উঠবেন।”
কিন্তু প্রেসিডেন্ট পদে যাওয়ার পথ সংবিধানিকভাবে বন্ধ


তাহলে তিনি কি আর উচ্চ পদে যেতে পারবেন না?

পারবেন।
এখানেই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:

  • তিনি মার্কিন কংগ্রেসম্যান হতে পারবেন

  • তিনি সিনেটর হতে পারবেন

  • তিনি গভর্নর, মেয়র, প্রশাসনিক প্রধান — সবই হতে পারবেন

  • শুধু মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট — এই দুটি পদে নিষেধাজ্ঞা

অর্থাৎ, তাঁর রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের রাস্তা বন্ধ হয়নি, কিন্তু সর্বোচ্চ পদে যাওয়ার দরজা সংবিধান বন্ধ করে রেখেছে

এ নিয়ে মার্কিন সমাজের একাংশে বিতর্ক দীর্ঘদিনের
অনেকে বলছেন:
“একজন নাগরিক যদি আমেরিকায় বড় হন, কাজ করেন, কর দেন, নাগরিক অধিকার পালন করেন — তাহলে তাঁর প্রেসিডেন্ট হওয়ার অধিকার কেন থাকবে না?”

আরেক দল বলছে:
“রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, কূটনীতি এবং সামরিক ক্ষমতা যে ব্যক্তির হাতে থাকবে — তাঁর জন্মসূত্রে আমেরিকার প্রতি দায়বদ্ধতা থাকা জরুরি।”

এমন বিতর্ক ভবিষ্যতে আইন বদলাতে পারে। কিন্তু বর্তমান অবস্থায় আইন অপরিবর্তিত।

আরও পড়ুন :

চিনা ন্যারেটিভ এর পরিপন্থী হওয়ায় হোয়াইট হাউসে শি জিনপিংয়ের হাসির ছবি চীনে প্রকাশ করা হচ্ছে না

জ়ুবিন গর্গ মারা গিয়েছেন প্রায় ৫০দিন, স্ত্রী গরিমা শইকীয়া গর্গ হঠাৎ হাসপাতালে ভর্তি

ad

আরও পড়ুন: